সংক্ষিপ্ত

বিধানসভা ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ব্যানার হোর্ডিং। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ব্যানার। যেখানে লেখা রয়েছে নেতা নয়, দলের সম্পদ কর্মী। দুই শীর্ষ নেতার ব্যানার ঘিরে তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতি।

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-বিধানসভা ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলে ফের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। সম্প্রতি, ব্য়ানার ও হোর্ডিং নিয়ে নয়া রাজনীতির সমীকরণ তৈরি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ব্যানার-হোর্ডিং। যেখানে লেখা রয়েছে 'তোমার ভাবনায় বাংলা'। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সমর্থনেও পোস্টার ছয়লাপ তমলুক শহর জুড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে, 'নেতা নয়, দলের সম্পদ কর্মী'। শাসক দলের দুই নেতার ভিন্ন পোস্টার ঘিরে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে তমলুক শহর জুড়ে।

আরও পড়ুন-তৃণমূল বনাম তৃণমূল, শুভেন্দুর সমর্থনে বিক্ষুব্ধদের সভা, তৃণমূলের সমর্থনে মন্ত্রীর প্রচারে জমজমাট পুরুলিয়া

গত কয়েক মাস ধরে দলহীন জনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শুভেন্দু সমর্থনে সভা হয়েছে। সেখানে সমর্থকরা নিজেদের আমরা দাদার অনুগামী বলে সভা করছেন।  পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে দলীয় প্রতিক ছাড়াই নিজস্ব ভঙ্গিমায় অংশ নিয়েছেন শুভেন্দু। কয়েকদিন আগে নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে নিজেকে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়। তিনি বলেছিলেন, প্যারাস্যুট করে নামিনি, সিঁড়ি ভেঙে রাজনীতির শিখরে পৌঁছেছি। আবার কখনও সাইকেল শেখার পদ্ধতি নিয়ে মন্তব্য নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে শহর জুড়ে নতুন ছবি। একদিকে শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টার। যেখানে লেখা রয়েছে 'তোমার ভাবনায় বাংলা'। অন্যদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনেও পোস্টার পড়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে  'নেতা নয়, দলের সম্পদ কর্মী'। তমলুক শহর জুড়ে এই ধরনের পোস্টার ঘিরে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলীপের


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমর্থনে প্রচারে রয়েছেন অধিকারী পরিবারের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত অখিল গিরির অনুগামী পার্থপ্রতিম মাইতি। অন্যদিকে, শুভেন্দু অনুগামী দেবকমলের বক্তব্য, ''শুভেন্দু আমাদের কাছে আলাদা মানুষ। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ বসতে পারে না। তাই তাঁর ছবি দিয়ে এই ব্য়ানার বা হোর্ডিং লাগানো হয়েছে''। শাসক দলের দুই শীর্ষ নেতার দুই ভিন্নধর্মী ব্য়ানার ঘিরে খোঁচা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ''ব্যানার ঘিরে মনে হচ্ছে, কে প্য়ারাস্যুট দিয়ে নেমেছে, আর কে সিঁড়ি ভেঙে উঠেছে তার দ্বন্দ্ব''।