সংক্ষিপ্ত
- মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ
- মৃতা ওই মহিলার নাম শকুন্তলা মল্লিক
- ঘটনায়, উঠে এসেছে অবৈধ সম্পর্কের কথা
- ইতিমধ্য়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার অন্তর্গত রাংটিয়া গ্রামে এক মহিলার রক্তাক্ত নগ্ন দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে। গ্রামের পাশে মাঠে দেহটি পড়েছিল নগ্ন অবস্থায়। বছর বত্রিশের মৃত ওই মহিলার নাম শকুন্তলা মল্লিক। দেহের অবস্থা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, পরকে ভালো রাখতে সুখের কৃচ্ছসাধন, সঞ্চয়ের ১ কোটি বিলিয়ে দিলেন মহামানবী চিত্রলেখা
রাংটিয়া গ্রামের স্থানীয়রা শনিবার সকালে গ্রাম থেকে পাশেই মাঠে নগ্ন অবস্থায় শকুন্তলার নিথর দেহ দেখতে পায়। রক্তাক্ত ছিল দেহটি। সূত্রের খবর, পিতৃহীন ওই মহিলা বিবাহিত।তাহলে স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোলের কারণে গত পাঁচ বছর ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে এসে বাপের বাড়িতে ছিলেন। সেখান থেকেই মজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন ৮ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে। প্রতিবেশীরা জানান শকুন্তলার সঙ্গে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সম্প্রতি একটি অবৈধ সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। তা নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। এর মাঝেই শুক্রবার সন্ধ্যার সময় একটি ফোন কল পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে শকুন্তলা।
আরও পড়ুন, গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি আদালতের, তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় স্বস্তিতে বিজেপি সাংসদ
এই ঘটনার পর মৃতার কাকু বাবলু দণ্ডপাট জানিয়েছেন,সন্ধ্যার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি শকুন্তলা। সকালে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে বলে গ্রামবাসীর কাছে তিনি জানতে পারেন। তাঁর দাবি, সাঁতরাপুর চারগেরিয়া এলাকার তপন মান্না, যার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের গুজব শোনা যাচ্ছিল এই খুন তারই পরিকল্পনামাফিক। অবশ্য় মৃতদেহ পড়ে থাকার স্থান থেকে অনেকটা দূর পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে তাকে এনে পরে ওই মাঠের কাছে ফেলে রাখা হয়েছিল। দেহ পড়ে থাকার স্থান থেকে অনেক দূর পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।