সংক্ষিপ্ত
- পরমাণু যুদ্ধের পর এবার পুরোদমে যুদ্ধের হুমকি
- আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই শুরু হবে ভারত-পাক যুদ্ধ বললেন পাক রেলমন্ত্রী
- তাঁর মতে এটাই হবে কাশ্মীরিদের শেষ স্বাদীনতার লড়াই
- হুমকির পাশাপাশি কূটনৈতিক কার্য়কলাপও বজায় রেখেছে পাকিস্তান
কাশ্মীরকে কেন্দ্র ভারত-পাক উত্তেজনাকে বাড়াতে কোনও খামতি রাখছে না পাকিস্তান। সোমবার পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ফারুক চৌধুরি জানান, ইমরান ভারতের জন্য পাক আকাশসীমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা ভাবছেন। বন্ধ করা হতে পারে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ভারতের বানিজ্যপথও। এবার সরাসরি পুরোদমে যুদ্ধ শুরু করার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন আরেক পাক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বুধবার আরও একবার পাক সরকারকে কাশ্মীরিদের মসিহা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হল। রাওয়ালপিন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বললেন কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর সময় এসে গিয়েছে। সময় এসেছে ভারত-পাক শেষ যুদ্ধের।
এখানেই থামেননি শেখ রশিদ। কবে থেকে সেই যুদ্ধের সূচনা হবে তারও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি। তাঁর মতে আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পুরোদমে যুদ্ধ বাধবে।
এদিকে, এদিনই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর জন্য আকাশপথে ও জলপথে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করাচির কাছে সোনমিয়ানি প্লাইট টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই পরীক্ষামূলক ক্ষেপমাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে।
আরো পড়ুন - উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করলেন ট্রাম্প! হোয়াইট হাউসের দাবি, কিন্তু কখন, কীভাবে
আরও পড়ুন - তৈরি হচ্ছে বিকাশের নীল নকশা! কাশ্মীরের জন্য মোদী গড়লেন পঞ্চপাণ্ডবের দল
আরও পড়ুন - পাক অধিকৃত কাশ্মীর রক্ষাই এখন দায়, বিরোধী দলনেতা ভুট্টোর নিশানায় ইমরান
আরো পড়ুন - সরাসরি পরমাণু যুদ্ধের হুমকি! কাশ্মীর নিয়ে কোনঠাসা, মরিয়া হলেন ইমরান
এর পাশাপাশি কুটনৈতিকক দিক থেকেও কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন কুড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা। মঙ্গলবারই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেছেন। পাক বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তাদেরকে 'কাশ্মীরে ভারতের বেআইনি কার্যকলাপ'-এর বর্ণনা দিয়েছেন কুরেশি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে ধাক্কা খেলেও, এই নিয়ে আলোচনা যে হয়েছিল, তা তুলে ধরেই কাশ্মীর সমস্যাকে আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে দেখাতে চাইছে তারা।