সংক্ষিপ্ত
সরদার মহম্মদ শোকাইব, ইসলামাবাদে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের প্রথম সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। অব্যদিকে হাফিজ মহিবুল্লাহ, মোল্লা গোলাম রসুলস মোল্লা আব্বাসকে তালিবান সরকার পেশোয়ার, কোয়েটা, করাচি কনস্যুলেটে নিয়োগ করছে
প্রথম থেকেই তালিবানদের (Taliban) পাশে রয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এখনও পর্যন্ত তালিবান অধিকৃতি আফগানিস্তানকে (Afghanistan) রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়নি। তবে এবার তালিবানদের সমর্থনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে আফগানিস্তানের দূতাবাস (aghfan embassy) ও কনস্যুলেটের তালিবান কূটনীতিবিদদের দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি গিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে গোটা বিষয়টি অত্যান্ত গোপণ করা হয়েছে। শনিবার ফাঁস হওয়ার একটি মিডিয়া রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে।
সরদার মহম্মদ শোকাইব, ইসলামাবাদে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের প্রথম সচিব হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। অব্যদিকে হাফিজ মহিবুল্লাহ, মোল্লা গোলাম রসুলস মোল্লা আব্বাসকে তালিবান সরকার পেশোয়ার, কোয়েটা, করাচি কনস্যুলেটে নিয়োগ করছে বলে পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানিয়েছে। শোকাইব কার্যকরভাবে ইসলামাবাদে আফগান ডি-অ্যাফেয়ার্সের চার্জে থাকবেন। এখানে আফগান দূতাবাসে গত জুলাই মাস থেকে রাষ্ট্রদূতের পদ ফাঁকা ছিল। পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত নাজিবুল্লাহ আলিখিলের মেয়ে সিলসিলাকে তালিবানরা অপহরণ করেছিল। এই অভিযোগ তুলে তিনি পাকিস্তান ত্যাগ করেছিলেন। তানিয়ে বিস্তর বিকর্তও হয়েছিল।
PM Modi Italy Visit: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় 'শক্তি পরিবর্তনে'জোর, ভারত-ইতালি যৌথ বিবৃতি পেশ
PM Modi At Vatican: পোপের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ মোদীর, ২০ মিনিটের নির্ধারিত বৈঠক চলল এক ঘণ্টা ধরে
তবে শোকাইব সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেনি আফগানিস্তান। তবে আমেরিকার একটি সংবাদ সংস্থার মতে শোকাইব জাবুল প্রদেশের বাসিন্দা। জাতিগতভাবে তিনি পাস্তুন। দক্ষণ কান্দাহারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগে কাজ করেছেন। একটি তালিবান ম্যাগাজিনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁকে ইউসুফ আহমাদি নামে এক তালিবান মুখপাত্রের সঙ্গেও কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। পাকিস্তানে একবার গ্রেফতারও হয়েছিল। পরবর্তীকালে পেশোয়ারে বসবাস শুরু করেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আসিম ইফতিকার নতুন এই নিয়োগকে প্রশাসনিক বিষয় বলে মন্তব্য করেছে। এরবেশি আর কোনও কথা বলেননি তিনি।তবে তিনি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে কনস্যুলেটের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির অন্যতম হল ভিসা সমস্যা সমাধান করা। পাকিস্তানে লক্ষাধিক আফগান শরণার্থী রয়েছে। তাদের ভিসা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই এই নিয়োগে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তালিবানরা অগাস্ট মাসে কাবুল দখল করেছে। তারপর পাকিস্তানের একাধিক শীর্ষ কর্তা কখনও প্রকাশ্যে কখনও আবার লুকিয়ে আফগানিস্তান সফর করেছেন। কথা বলেছেন তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে। মন্ত্রিসভা গঠনেও পাকিস্তান হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর আড়াই মাসেরও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তালিবনদের বৈধ সরকারের মর্যাদা দেয়নি পাকিস্তান। তবে এবার তালিবানরা কূটনীতিক বলে যাদের নিয়োগ করেছে তাদের পাকিস্তান ভিসা দিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।