লণ্ঠনের আলো দেখিয়ে এখানে মা‐কে বিদায় জানান হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই এটা করে থাকেন। দশমীর দিন সম্প্রীতির এই ছবি ধরা পড়ল মরা মহানন্দার ঘাটে। প্রায় ৩৫০ বছর ধরেই এই রীতি চলে আসছে সেখানে। চাঁচলের রাজা এই পুজোর শুভ আরম্ভ করেন। গোধূলি লগ্নেই সেখানে মায়ের ভাসান হয়। অসংখ্য মানুষ সেখানে ভিড় জমান এই ভাসান দেখতে। আগে লন্ঠনের আলো দেখানো হলেও এখন ফোনের আলো দেখানো হয়।
শুক্রবার গিয়েছে বিজয়া দশমীতে ধুনুচি নাচ টলি অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের। ধুনুচি নাচের সময় তাঁর পরনে দেখা গেল লাল পেড়ে সাদা শাড়ি। দশমীর সাজে অসাধারণ দেখাচ্ছে সন্দীপ্তা সেনকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সন্দীপ্তা সেন। ভিডিও পোস্ট করে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ভিডিওয় ঢাকের তালে তালে ধুনুচি নাচ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
শুক্রবার ছিল বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)। দশমীর ভাসানের পরের দিনই তৎপর কলকাতা কর্পোরেশন। সকাল থেকেই কলকাতায় চলছে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার। সকাল থেকেই কদমতলা ঘাট পরিষ্কার করতে দেখা গেল কলকাতা কর্পোরেশনের কর্মীদের। ফুল সহ জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে দেখা গেল সেখানে দ্রুততার সঙ্গে। গঙ্গা দূষণ রোধেই কলকাতা কর্পোরেশনের বিশেষ উদ্যোগ।
রায়গঞ্জ থানার ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়ার আনন্দে। তবে এখানে দেবী দুর্গাকে "বালাইচণ্ডী" রূপে পুজো করা হয়ে থাকে।
প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো রীতি মেনে আজও দেবী দুর্গার বিদায়বেলায় লণ্ঠনের আলো দেখিয়ে তাঁকে বিদায় জানান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রতি বছর সম্প্রীতির এই দুর্লভ ছবি দেখতে পাওয়া যায় মালদহের চাঁচলের মরা মহানন্দা নদীর তীরে।
মালদহে দেখা গেল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি। মালদহের চাঁচলে দেখা গেল এমনই ছবি। বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) সন্ধ্যায় দেখা গেল এই ছবি। এদিন দুর্গা মন্ডপ পরিদর্শন করেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য। মহম্মদ সামিউল ইসলাম ও তার অনুগামীরা মন্ডপে ঘুরে দেখেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও। মালদহের (Malda) প্রতিটি মন্ডপে তাঁরা ঘুরে দেখেন।
দুই বাংলার মিলন স্থল টাকির ইছামতি নদী। প্রতি বছর দুই বাংলার মানুষ সেখানে ভাসান দেখতে ভিড় জমায়। শুক্রবারও সেখানে দেখা গেল সেই একই ছবি। এবছর তবে দর্শনার্থীদের ইছামতীতে নামতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আগেই ইছামতীতে বিসর্জন নিয়ে বৈঠক হয়। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিসর্জন দেখতে গিয়ে তাই হতাশ হয়েই ফিরতে হল দর্শনার্থীদের।
দশমীতেও পার পেল না বাংলাদেশের মন্দির, নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে তাণ্ডবলীলা চালালো দুষ্কৃতিরা । এমনকি মন্দিরে উপস্থিত ভক্তদের মারধর করা হয়, একজন ভক্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ইসকন মুখপাত্র।
দেখতে পুজো শেষ, উমাকে বিদায় জানাতে ঘাটে ঘাটে ভিড়। কলকাতার (Kolkata Ganges ghat) ঘাটে ঘাটে ভাসানের ভিড় দেখা গেল। শুক্রবার সকাল থেকেই ভাসানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সকাল থেকেই সিঁদুর খেলা (Sindur Khela) শেষে কলকাতার ঘাটে ভাসন শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি মাথায় করেই বাবুঘাটে চলে পুজোর ভাসান। করোনা বিধি মেনেই এবার পুজোর ভাসান।
কৃত্রিম উপায়ে মা দুর্গার ভাসানের ব্যবস্থা কলকাতা পৌরসভার। সরাসরি দুর্গা প্রতিমা গঙ্গাবক্ষে বিসর্জন না দিয়ে গঙ্গার পাশে একটি স্থানে হোস পাইপের মাধ্যমে মাকে পুরোপুরিভাবে নিরঞ্জন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। গঙ্গার পাশে একটি হোস পাইপ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মাধ্যমে দুর্গা প্রতিমা পুরোপুরিভাবে জলের মাধ্যমে মিশ্রিত করে দেওয়া হবে এবং সেই জল একটি ট্যাংকে জমা হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। পরবর্তীকালে তা হাই ড্রেন দিয়ে বার করে দেওয়া হবে। গঙ্গার দূষণ রোধ করতেই এই পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এই ভাবে ভাসান তবে বাধ্যতামূলক নয়।