সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তান সুপার লিগ এখনও পর্যন্ত আইপিএল-এর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। আর্থিক ভিত্তিতে তো বটেই, জনপ্রিয়তার নিরিখেও অনেক পিছিয়ে পিএসএল। এরই মধ্যে হাসির খোরাক হয়ে উঠল পিএসএল।

এশিয়া কাপ আয়োজন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই-এর সঙ্গে পিসিবি-র টানাপোড়েন চলছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিসিসিআই। নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বিসিসিআই-এর অভিযোগ অস্বীকার করেছে পিসিবি। কিন্তু পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা যে কতটা ঠুনকো, সেটা ফের প্রমাণ করে দিল লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামের ঘটনা। পাকিস্তান সুপার লিগ চলাকালীন গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে চুরি হয়ে গেল ৮টি সিকিওরিটি ক্যামেরা, জেনারেটর ব্যাটারি ও ফাইবার কেবল। পিএসএল-এর ম্যাচ চলাকালীন সিসিটিভি ফুটেজের লাইভ রেকর্ডিং ও নজরদারির জন্য সিকিওরিটি ক্যামেরা জরুরি। গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে যে সমস্ত সরঞ্জাম চুরি হয়েছে, তার দাম পাকিস্তানের মুদ্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গুলবার্গ থানায় দু'টি আলাদা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কারা চুরি করল, সেটা এখনও জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই ঘটনা নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেননি।

পিএসএল-এ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। ফের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের সঙ্গে পিসিবি-র সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। পিএসএল চলাকালীন নিরাপত্তাব্যবস্থা সংক্রান্ত খরচ কে বহন করবে সেটা নিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের সঙ্গে পিসিবি-র দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই পরিস্থিতিতে গদ্দাফি স্টেডিয়াম থেকে সিকিওরিটি ক্যামেরা-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি যাওয়ার পর এবার ম্যাচ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

ক্রিকেট নয়, বরং বিতর্কের জন্যই বরাবর খবরের শিরোনামে উঠে আসে পিএসএল। গদ্দাফি স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ ৪৫০ মিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রার বদলে ২৫০ মিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রায় কমিয়ে এনেছে পিএসএল। পাল্টা পিসিবি-ও জানিয়ে দিয়েছে, পাঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে না।

পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের সঙ্গে পিসিবি-র দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। তাঁর দাবি, অন্যদের দায় নেওয়া উচিত নয় পিসিবি-র। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার দায়িত্ব পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের। পিসিবি-কে যদি নিরাপত্তার খরচও বহন করতে হয়, তাহলে দেউলিয়া হয়ে যাবে।

রামিজের এই বক্তব্যেই পরিষ্কার, পিএসএল আয়োজন করে আর্থিকভাবে বিশেষ লাভ করতে পারছে না পিসিবি। আর্থিক সমস্যা কোনওভাবেই দূর হচ্ছে না। এরই মধ্যে চুরির ঘটনায় সমস্যা বাড়ল।

আরও পড়ুন-

সব ধরনের উইকেটে ইংল্যান্ডের ব্যাজবল চলবে না, মত রবিচন্দ্রন অশ্বিনের

মাঠের বাইরে আয়, তোকে ছাড়ব না, শোয়েব মালিককে হুমকি দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়!

বাড়িতে সারমেয়দের সঙ্গে খেলায় মেতেছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর