Ranji Trophy 2025: রঞ্জি ট্রফির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ স্টেডিয়ামে ত্রিপুরার মুখোমুখি হয় বাংলা।
Ranji Trophy 2025: ম্যাচ ড্র। রঞ্জি ট্রফির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ স্টেডিয়ামে ত্রিপুরার মুখোমুখি হয় বাংলা (bengal vs tripura ranji trophy live)। সেই ম্যাচটি শেষপর্যন্ত, ড্র হয়েছে। বলা ভালো ত্রিপুরার অধিনায়ক তথা অলরাউন্ডার মুরাসিং এবং হনুমা বিহারীর দাপটেই ম্যাচ ড্র হল (bengal vs tripura live score)।
বাংলার ইনিংস শেষ হয় ৩৩৬ রানে
এই ম্যাচে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ত্রিপুরা। আর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলা। ওপেনার সুদীপ কুমার ঘরামি ১০৮ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন। তবে হতাশ করেন কাজী সাইফি। খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তবে হাল ধরেন শাকির হাবিব গান্ধী। তাঁর সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ৯৫ রান।
অপরদিকে, প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদারের ঝুলিতে ৬ রান, অধিনায়ক অভিষেক পোড়েল করেন মাত্র ১১ রান, সুমন্ত গুপ্তর ঝুলিতে ৫ রান এবং রাহুল হরি প্রসাদ ৩৫ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। কিন্তু মহম্মদ কাইফ কোনও রান করতে পারেননি।মহম্মদ শামি করেন ৫ রান।
শাহবাজ আহমেদের ঝুলিতে ৪০ রান। শেষপর্যন্ত, বাংলার ইনিংস শেষ হয় ৩৩৬ রানে। ত্রিপুরার হয়ে ৩টি করে উইকেট পান মুরাসিং এবং রানা দত্ত। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন বিক্রমকুমার দাস এবং ১টি করে উইকেট পেয়েছেন অভিজিৎ কুমার সরকার ও স্বপ্নিল সিং।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে, ত্রিপুরার ইনিংস শেষ হয় ৩৮৫ রানে। দলের ওপেনার বিক্রমকুমার দাস করেন ১৯ রান, হৃতুরাজ রায়ের ঝুলিতে ৫ রান, শ্রীদাম পালের সংগ্রহে ৬ রান এবং স্বপ্নিল সিং ৪ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। বিক্রমজিৎ দেবনাথ তো খালি হাতে ফিরে যান। অপরদিকে, সেন্টু সরকার করেন ২০ রান, বিজয় শঙ্করের ঝুলিতে ৩৪ রান, রানা দত্তর সংগ্রহে ২৭ রান এবং অভিজিৎ কুমার সরকার করেন ১ রান।
মুরাসিং এবং হনুমা বিহারী জুটি ১১৬ রান যোগ করেন
ব্যাটিং লাইন-আপের যখন তথৈবচ অবস্থা, তখন হাল ধরেন হনুমা বিহারী এবং অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিং। এই দুজনের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংসই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল। হনুমা বিহারী শতরান করেন। তাঁর ১৪১ রানের ইনিংস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। শেষদিকে নেমে মুরাসিং-এর সেঞ্চুরি এবং ১০২ রানের ইনিংস ত্রিপুরাকে লড়াইতে ফিরিয়ে আনে। শেষপর্যন্ত, ত্রিপুরার ইনিংস শেষ হয় ৩৮৫ রানে। সবথেকে বড় বিষয় হল, মুরাসিং এবং হনুমা বিহারী জুটি ১১৬ রান যোগ করেন।
বাংলার হয়ে ৪ উইকেট নেন মহম্মদ কাইফ। ৩টি উইকেট পান ঈশান পোড়েল। ২টি উইকেট রাহুল প্রসাদের দখলে এবং ১টি উইকেট পেয়েছেন শাহবাজ আহমেদ।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, বাংলা ৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তোলার পরেই খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ফলে, ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কার্যত, খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দলের দুই ওপেনার সুদীপ কুমার ঘরামি এবং কাজী সাইফি। শাকির হাবিব গান্ধী করেন ৩ রান। অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৪ রানে এবং শাহবাজ আহমেদ ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।