সংক্ষিপ্ত
পয়লা বৈশাখের সকালে রীতি মেনে বারপুজো হল ময়দানে। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে মোহনবাগানে এবার উৎসব একটু বেশি রঙিন। সকাল থেকেই ক্লাবে সদস্য-সমর্থকদের ভিড়।
একজন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি, অপরজন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি। তবে শুধু ফুটবলই নয়, ক্রিকেটও ভালো খেলতেন প্রয়াত চুনী গোস্বামী। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ না পেলেও, বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি। পয়লা বৈশাখ সকালে মোহনবাগান তাঁবুতে চুনী গোস্বামী নামাঙ্কিত গেট উদ্বোধন করতে এসে সে কথাই উল্লেখ করলেন সুনীল গাভাসকর। তিনি বম্বের হয়ে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলার তারকা চুনী গোস্বামীর বিরুদ্ধে খেলেছেন। ১৯৬৮-৬৯ মরসুমের রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বম্বের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। সেই ম্যাচে অবশ্য জিততে পারেনি বাংলা। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয় বম্বে। ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে দেশে ফেরার পর বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া লক্ষ্য ছিল চুনী গোস্বামীর। কিন্তু তাঁর সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি।
সেই ম্যাচ প্রসঙ্গে গাভাসকর বলেছেন, 'চুনী গোস্বামী ভালো ব্যাটিং করছিলেন। তিনি নিশ্চিত শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৯৬ রানের মাথায় তিনি ক্যাচ আউট হয়ে যান। আমি স্লিপে ফিল্ডিং করছিলাম। চুনী গোস্বামী আউট ছিলেন না। ক্যাচ নেওয়ার আগেই মাটিতে পড়ে গিয়েছিল বল। সেই সময় রীতি ছিল, যদি ব্যাটার আউট না থাকে, তাহলে সে কথা স্বীকার করতেন বোলার ও ফিল্ডাররা। আমি ছুটে গিয়ে বলতে যাচ্ছিলাম, চুুনী গোস্বামী আউট ছিলেন না। কিন্তু আমার পাশেই ছিলেন এক সিনিয়র ক্রিকেটার। তিনি আমাকে বলেন, সুনীল, কিছু বোলো না। ও ভালো ব্যাটিং করছে। এরপর আমি আর কিছু বলিনি। পরবর্তীকালে কলকাতায় চুনী গোস্বামীর সঙ্গে যখন দেখা হয়েছিল, তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, তিনি আউট ছিলেন না। চুনী গোস্বামী অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, আমার কপালে রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে শতরান ছিল না।'
মোহনবাগান সভাপতি স্বপন সাধন বসুর অনুরোধে ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কথা জানান গাভাসকর। তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্ব একাদশের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিলাম। তখন বিমানবন্দরে আমাদের স্বাগত জানাতে আসেন ব্র্যাডম্যান। তিনি আমার খোঁজ করছিলেন। তারপর নিজে এগিয়ে এসে পরিচয় দেন। যদিও তাঁর পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমরা কথাবার্তা শুরু করি। উনিই বেশি কথা বলছিলেন আর আমি শুনছিলাম। হঠাৎ পাকিস্তানের জাহির আব্বাস এগিয়ে আসে। ও ব্র্যাডম্যানের সঙ্গ কথা বলতে শুরু করে। সেটা দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোহন কানহাই সবাইকে ডেকে বলেন, একদিকে বম্বের ডন ব্র্যাডম্যান, অন্যদিকে করাচির ডন ব্র্যাডম্যান আর মাঝখানে আসল ব্র্যাডম্যান।'
আরও পড়ুন-
জামশেদপুর এফসি-র কাছে ০-৩ হার, সুপার কাপ থেকে বিদায় এটিকে মোহনবাগানের
৩-১ এগিয়ে থেকে হায়দরাবাদের সঙ্গে ড্র, সুপার কাপ থেকে বিদায়ের মুখে ইস্টবেঙ্গল
Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা