সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি নতুন কিছু নয়। ফের সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। আত্মজীবনীতে প্রাক্তন সতীর্থ সেলিম মালিককে তীব্র আক্রমণ করলেন ওয়াসিম আক্রম।
আত্মজীবনীতে জাতীয় প্রাক্তন সতীর্থ সেলিম মালিক সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম। তাঁর দাবি, জাতীয় দলের হয়ে যখন খেলা শুরু করেন, তখন তাঁর সঙ্গে চাকরের মতো আচরণ করতেন সিনিয়র সতীর্থ মালিক। তিনি ম্যাসাজ করে দিতে বাধ্য করতেন, জুতো পরিষ্কার করাতেন, এমনকী পোশাক কাচাতেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আত্মজীবনীতে আক্রম লিখেছেন, 'আমি তখন জুনিয়র ছিলাম। এরই সুযোগ নিতেন সেলিম মালিক। তাঁর মানসিকতা ছিল নেতিবাচক। তিনি প্রচণ্ড স্বার্থপর ছিলেন। আমার সঙ্গে তিনি চাকরের মতো আচরণ করতেন। তিনি আমাকে ম্যাসাজ করে দেওয়ার নির্দে দিতেন। আমাকে দিয়ে জুতো পরিষ্কার করাতেন, পোশাক কাচাতেন। রামিজ, তাহির, মহসিন, শোয়েব মহম্মদের মতো কমবয়সি সতীর্থরা আমাকে নাইটক্লাবে যেতে বলত। এই প্রস্তাবে আমার খুব রাগ হত। এই ধরনের আচরণ আমি একেবারেই মেনে নিতে পারি না। শুধু আমার সঙ্গেই নয়, কারও সঙ্গেই এই ধরনের আচরণ করা উচিত নয়।'
১৯৮৪ সাল থেকে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন আক্রম। মালিক তার আগে থেকেই পাকিস্তানের হয়ে খেলছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন মালিক। তাঁর নেতৃত্বে খেলেন আক্রম। তবে কোনওদিনই তাঁদের সম্পর্ক ভাল ছিল না বলে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহল সূত্রে খবর। এবার সরাসরি মালিককে আক্রমণ করলেন আক্রম। ফলে পাকিস্তানের এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
মালিক অবশ্য আক্রমের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, 'আক্রমের আত্মজীবনীর প্রচার যাতে হয় এবং বিক্রি বাড়ে, তার জন্যই ও এসব লিখেছে। ও কেন এসব লিখেছে সেটা আমি ওকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করব ভেবেছিলাম। কিন্তু ও ফোন ধরেনি। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করব ও কেন এসব লিখেছে। আমি যদি সংকীর্ণ মানসিকতার হতাম, তাহলে ওকে বোলিং করার সুযোগই দিতাম না। ও কেন আমার সম্পর্কে এসব লিখেছে জানি না।'
কোকেনের নেশায় আসক্ত হওয়ার পরের ঘটনা সম্পর্কে আত্মজীবনীতে আক্রম লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডে একটি পার্টিতে একজন আমাকে কোকেন সেবন করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রথম আমি কোকেন সেবন করি। তারপর নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। পাকিস্তানে ফিরে আমি এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম যে পরিবারে সমস্যা হচ্ছিল। তখন আমার স্ত্রী রিহ্যাবে যেতে বলে। আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আড়াই মাস রিহ্যাবে রাখা হয়েছিল। কারও ইচ্ছার বিরুদ্ধে রিহ্যাবে রাখা সারা বিশ্বে বেআইনি, কিন্তু পাকিস্তানে আইনত সিদ্ধ।’
আরও পড়ুন-
মহিলাদের টি-২০ ব্লাস্টের দ্বিতীয় মরসুম শুরু ৫ ডিসেম্বর, ড্রাফটে ৯০ জন ক্রিকেটার
১ ওভারে ৭ ছক্কার পর অসাধারণ সৌজন্যবোধ, ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নিলেন রুতুরাজ
টি-২০ ম্যাচে স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি দর্শক, আইপিএলএল ফাইনালে বিশ্বরেকর্ড