Indian Super League: বুধবার ইংরাজি বছর ২০২৫ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় ফুটবলও (Indian Football) কি শেষ হয়ে যাচ্ছে? ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সবাই উদ্বিগ্ন। কারণ, চলতি মরসুমে আইএসএল আদৌ হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও সংশয় দূর হয়নি।

DID YOU
KNOW
?
আইএসএল নিয়ে জট কাটবে?
আইএসএল নিয়ে সমস্যা এখনও মেটাতে পারেনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। চলতি মরসুমে আইএসএল হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েই গিয়েছে।

Indian Club Football: বুধবার মধ্যরাতে ইংরাজি নতুন বছর ২০২৬ (New Year 2026) শুরু হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য আলো, আতসবাজি, জাঁকজমকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলের আঁধার কাটছে না। এবার আইএসএল (Indian Super League) হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আরও অনেকের মতোই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তীও (Souvik Chakrabarti) ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আইএসএল তথা ভারতের ক্লাব ফুটবলের সঙ্গে বহু মানুষের রুটি-রুজি জড়িয়ে। এখন ভারতে ক্লাব ফুটবল বন্ধ থাকায় অনেকেরই রোজগার বন্ধ। খেলা শুরু না হলে কারও লাভ হবে না। এই কারণে ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সবাই চাইছেন স্পনসরশিপ, বাণিজ্যিক চুক্তি, সম্প্রচার সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়ে দ্রুত শুরু হোক আইএসএল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব সৌভিক

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে সৌভিক লিখেছেন, 'আমার মনে হয় না মানুষ আর সত্যি বুঝতে পারছে যে কী ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যদি এখন এর সমাধান না করা হয়, তবে শুধু ভারতীয় ফুটবলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, হাজার হাজার জীবন স্থায়ীভাবে প্রভাবিত হবে। এটা শুধু খেলোয়াড়দের ব্যাপার নয়। ভারতীয় ফুটবলে কর্মরত অনেকেরই কোনও সঞ্চয় নেই, দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি নেই বা তাদের জন্য অন্য কোনও বিকল্পও নেই। তারা মাস শেষে বেতনের উপর নির্ভর করে চলে। তাদের বেতনই বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস। যখন বেতন বন্ধ হয়ে যায়, জীবনও থেমে যায়।'

'সময় ফুরিয়ে আসছে'

সৌভিক আরও লিখেছেন, 'খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, ফিজিও, বিশ্লেষক, মিডিয়া টিম, কিট ম্যানেজার, মাঠকর্মী, চালক, অপারেশনস টিম, বিক্রেতা এবং স্থানীয় অংশীদাররা। পুরো পরিবার এই ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসার প্রয়োজন, ভাড়া, খাবার—সবকিছুর খরচ ফুটবল থেকেই আসে। সিদ্ধান্তগুলো প্রায়শই টেবলের উপর রাখা ফাইলের মতো করে আলোচনা করা হয়। কিন্তু প্রতিটি বিলম্ব, প্রতিটি নীরবতা, প্রতিটি স্থগিত মৌসুমের পিছনে এমন কিছু বাস্তব মানুষ আছেন, যারা বাড়িতে বসে আছেন কোনও স্পষ্ট ধারণা ছাড়া, কোনও আয় ছাড়া এবং তাঁদের পরিবারকে দেওয়ার মতো কোনও উত্তর ছাড়া। সভা হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সময় ফুরিয়ে আসছে।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।