সংক্ষিপ্ত

যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সারা দেশ উত্তাল হলেও, ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং স্বমেজাজেই আছেন। তিনি নিজের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

৫ জুন উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ‘জন চেতনা মহার‍্যালি’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তবে তাঁকে এই সমাবেশের অনুমতি দিল না প্রশাসন। অযোধ্যা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রিজভূষণের সভার অনুমতি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার সার্কেল অফিসার এসপি গৌতম বলেছেন, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি রয়েছে। সেই কারণে ব্রিজভূষণের পক্ষ থেকে বিজেপি কাউন্সিলর চামেলা দেবী যে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন, সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে ব্রিজভূষণকে এই কর্মসূচি বাতিল করে দিতে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে কাইজারগঞ্জের বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রাদেশিকতার প্রচার করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন পুলিশ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা আমি মেনে চলছি। সেই কারণেই আমি ৫ জুন জন চেতনা মহার‍্যালি ও অযোধ্যা চলো কর্মসূচি কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

৫ জুম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিন। সেই দিনেই অযোধ্যায় সভা করার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিজভূষণ। কিন্তু তাঁর সেই সভা হচ্ছে না। তবে তাঁকে সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, জাত ও অঞ্চলের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি। তিনি অযোধ্যায় যে সমাবেশ আয়োজন করার জন্য প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছিলেন সেই সমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু-সন্ত, মহন্ত, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের এবং আইন বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ‘জন চেতনা মহার‍্যালি’-তে গুরুতর অপরাধ সংক্রান্ত আইনের অপব্যবহার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই সমাবেশ হচ্ছে না।

ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় শ্লীলতাহানি, ৩৫৪ এ ধারায় যৌন নির্যাতন, ৩৫৪ ডি ধারায় পিছু নেওয়া বা নজরদারি চালানো এবং ৩৪ ধারায় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সব ধারা মিলিয়ে কমপক্ষে এক বছর এবং সর্বাধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ব্রিজভূষণের। তবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পকসো আইনেও ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করা যাবে না। আন্দোলনকারীরা অবশ্য যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতারের দাবিতে সরব।

আরও পড়ুন-

কুস্তিগীরদের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দরবারে যাবেন, জানালেন রাকেশ টিকাইত

ময়দানে মোমবাতি মিছিল, ২ কুস্তিগীরকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আর্থিক সমস্যায় চিকিৎসা করাতে পারছেন না, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি পিয়ালির