মঙ্গলবারেই প্রায় ২ হাজারের গণ্ডী ছুঁয়েছে ভারতে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। আশঙ্কা আরও বাড়ছে কেরল, কর্ণাটকের মতো দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, ২ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে কোভিডের মোট সংখ্যা বেড়ে ৩২ হাজার ৩৫ হয়েছে, যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ছিল।
করোনা আক্রান্তদের নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে কেরল। তার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি নিয়েও।
করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট BF-7 সামনে আসার পরই চিকিৎসক আর গবেষকদের একাধিক বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে চিন-সহ একাধিক দেশে নতুন করে বাড়ছে কোভিড -১৯ সংক্রমণ। এই অবস্থায় সবথেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে ২০২৩ সালে কি নতুন করে হবে লকডাউন।
ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে গত মাসে সরকার কঠোর COVID-19 বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করার কারণে মামলার সংখ্যা বেড়েছে। কিছু লোক COVID-19-তে শনাক্ত হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যু শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ নিউমোনিয়া হিসাবে দেখানো হচ্ছে।
নভেম্বরেই প্রথম সপ্তাহেই প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হঠাতই লকডাউন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীপাবলির আগে থেকেই ফের চাগাড় দিতে পারে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যা সহজেই টেক্কা দিতে পারে ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজকে।
চিনের ১৩টি শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশেই। চিনে করোনার বর্তমান ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জিলিন প্রদেশ।
মোটের ওপর শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধি। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ই জানুয়ারি থেকে এই করোনা বিধিনিষেধ বলবৎ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজেরই বর্তমানে খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। রাজ্যের অপদার্থতার কারণেই আজ করোনা বিস্ফোরণের মুখে দাঁড়িয়ে গোটা বাংলা।