প্রায় সাড়ে চারশো বছরের এক মন্দিরে একসঙ্গে অধিষ্ঠান করেন ৩ দুর্গা। দশভুজা নন, ৩ দেবীই এখানে চতুর্ভুজা রূপে অধিষ্ঠিত।
পুরাণ খ্যাত মহাপীঠ মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীর টানে অমাবস্যার রাতে কালীপুজোয় দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। মুর্শিদাবাদের কোনায় কোনায় জড়িয়ে রয়েছে অজানা ইতিহাসের সম্ভার, সেই সম্ভারের অন্যতম হলো দেবীর ৫১ পীঠের কিরীটেশ্বরী।
জানা যায়, রায় বাহাদুরের পুত্র রবীন্দ্র নারায়ণ সিংহ দুরারোগ্য কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। প্রিয় পুত্রের আরোগ্য কামনায় প্রায় ৭৭ বছর আগে নেহালিয়া সিংহ বাড়ির দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু, পুজার সময়কালে রবীন্দ্র নারায়ণের মৃত্যু হয়।
গঙ্গা নদীর পশ্চিম পাড়ের শহর আজিমগঞ্জ। এখানে রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন বঙ্গের সবচেয়ে বড় জমিদার রানি ভবানী। ফলে এই পুজোকে ঘিরে জাঁকজমকের কোনও খামতি ছিল না।
মুর্শিদাবাদে জমিদারবাড়ির সম্প্রীতির শারদীয়াকে ঘিরে উন্মাদনা চরমে। 'মুসলিমরাও এই পুজোয় সহযোগিতা করে আসছেন', জানালেন বর্ষীয়ান সদস্য কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী মাধব কুমার সান্যাল।
৮০০বছরের রীতি মেনে পুজোর আগেই শুরু হয়েছে ২৭ দিনের দুর্গাপুজো মুর্শিদাবাদের ঘোষ বাড়িতে। শুরুটা হয়েছিল সুদূর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা নগরী থেকে, পরে সেখান থেকে ঘোষ বাড়ির এই পুজোর শুরু হয় তৎকালীন কয়েকশো বছর আগের জেলার ভরতপুরে আসা পরিবারের কোনও এক সদস্যের হাত ধরে।