বারাকপুরে মা-মেয়ের রহস্যমৃত্যু বাড়িতে মিলল জোড়া মৃতদেহ ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা তদন্তে নেমেছে পুলিশ

পরিবারে কি কোনও অশান্তি চলছিল? ধন্দে প্রতিবেশীরা। বারাকপুরে গৃহবধূ ও শিশুকন্যার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য। ঘটনার কারণ নিয়ে কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। মৃতার স্বামীর সঙ্গে কথা বললেই রহস্যের কিনারা করা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণ পাইয়ে দেওয়ার নামে গৃহবধূকে 'ধর্ষণ', গ্রেফতার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

জানা গিয়েছে, বারাকপুরের সদর বাজারের গোলামহল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী ও শিশুকন্যা নিয়ে থাকতেন পারভিন খান। স্বামী চিন্টু খান কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার চাকরি করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধেবেলা স্বামী না ফেরা পর্যন্ত মেয়ে-কে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতে হত পারভীনকে। তবে সংসারের কাজ সারা হয়ে গেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্পগুজব করতেন তিনি। ব্যতিক্রম ঘটে বুধবার সন্ধেয়বেলায়। কী ব্যাপার? প্রথমে প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন, ঘরের কোনও কাজে হয়তো ব্যস্ত আছেন ওই গৃহবধু। এরপরই নেহাতই কৌতুহলবশত বাড়িতে কাছে এগিয়ে যান বেশ কয়েকজন। কিন্তু ডাকাডাকি করেও পারভিন বা তাঁর মেয়ে ইবানার কোনও সাড়া পাওয়া যায় না। 

আরও পড়ুন: চুলেও এবার করোনাভাইরাস, সংক্রমণ ঠেকাতে নয়া দিশা দেখাচ্ছেন হাওড়ার রবিন

খবর দেওয়া হয় ব্যারাকপুর থানায়। কিন্তু পুলিশ এসে যখন ডাকাডাকি করে, তখনও মা ও মেয়ের সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ! প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘরের সিলিং থেকে ঝুলছিলেন পারভিন। আর তাঁর তিন বছরের মেয়ের মৃতদেহ পড়েছিল বিছানায়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্ত কেন এমনটা ঘটল? তা নিয়ে ধন্দে প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, পরিবার বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। এলাকায় শোকের ছায়া।