সংক্ষিপ্ত
এদিনের এই যাত্রা শুরু হয় ঐতিহাসিক দক্ষিণ দরজা থেকে, সেখান থেকে ওয়াসেফ মঞ্জিল হয়ে কেল্লা নিজামত দিয়ে তাঁরা পৌঁছে যান ফক্সেস কুঠি, পরে ইমামবাড়া পরিদর্শন করেন। এরপর প্রশাসনিক কর্তারা ফের দক্ষিণ দরজাতে গিয়ে এদিনের এই হেরিটেজ ওয়াক শেষ করেন।
'হেরিটেজ ওয়াক' (Heritage Walk) নাম দিয়ে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Place) হাজারদুয়ারি (Hazarduari) এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ করলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। সোমবার জেলা প্রশাসন ও মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (Murshidabad Heritage and cultural development society) উদ্যোগে অভিনব এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। এদিন হেরিটেজের জন্য হাঁটা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী সহ জেলার পুলিশ সুপার কে সবরী রাজকুমার, মুর্শিদাবাদ স্টেট ম্যানেজার জয়ন্ত মণ্ডল এবং জেলার অন্য প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তারা।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, "মূলত হাজারদুয়ারি কেন্দ্রীক পর্যটন কেন্দ্রগুলি কী অবস্থায় আছে, কীভাবে জেলায় আরও বেশি পর্যটক টানা যায় হাঁটতে হাঁটতে তার একটা পর্যালোচনা করা গেল হেরিটেজ ওয়াকের মাধ্যমে।" দিন পাঁচেক আগে জেলা প্রশাসন ও মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে নিশ্চিহ্ন হতে বসা নবাব সরফরাজ খার সমাধি সংস্কার করে তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর এদিন জেলা প্রাশাসনের উদ্যোগে পর্যটনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন জেলাবাসী।
আরও পড়ুন- পঞ্চমীর সন্ধ্যায় রেড রোডে চলল ‘গুলি’, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
এদিনের এই যাত্রা শুরু হয় ঐতিহাসিক দক্ষিণ দরজা থেকে, সেখান থেকে ওয়াসেফ মঞ্জিল হয়ে কেল্লা নিজামত দিয়ে তাঁরা পৌঁছে যান ফক্সেস কুঠি, পরে ইমামবাড়া পরিদর্শন করেন। এরপর প্রশাসনিক কর্তারা ফের দক্ষিণ দরজাতে গিয়ে এদিনের এই হেরিটেজ ওয়াক শেষ করেন। যাত্রাপথে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কাছ থেকে হেরিটেজ কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেন জেলা শাসক।
আরও পড়ুন- পঞ্চমীর রাতে গুলি চলল গীতালদহে, ‘গোষ্ঠী সংঘর্ষে’ মৃত ২ তৃণমূল কর্মী
এই বিষয়ে মুর্শিদাবাদ স্টেট ম্যানেজার জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, "এদিন জেলাশাসক পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহাসিক বেড়া উৎসব না হওয়ার করণে জেলার পর্যটনকে ঘিরে মানুষের উৎসাহে কিছুটা হলেও ভাটা লক্ষ করা গিয়েছে। তাই পুজোর পর প্রতীকী বেড়া উৎসব পালন করার চিন্তা ভাবনা শুরু করতে বলেছেন জেলাশাসক।"
আরও পড়ুন- উৎসবের মুখে রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ, চরম আশঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা
জেলার পর্যটনকে রাজ্য ও দেশের মানুষের কাছে ফের নতুন ভাবে তুলে ধরার জন্য একাধিক পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্যকেও জেলাশাসক কয়েকটি উদ্যোগ নিতে বলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রশিক্ষিত গাইড, প্রয়োজনে উদ্যোগী ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, "গাইডের বিষয়ে আগ্রহী এবং স্বেচ্ছায় অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের কাজে লাগানোর কথা বলেছেন জেলাশাসক। সেক্ষেত্রে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।"