সংক্ষিপ্ত
কয়েক কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার বাঁকুড়া আদালতের কর্মী। একাধিক কর্মী ও বিচারকের নামের বানান ভুল লিখে বেতনের টাকা অন্য একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
২.৩৩ কোটি টাকা (Money Fraud Case) তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার বাঁকুড়া আদালতের এক কর্মী (Bankura court)। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কর্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত করনিকের নাম প্রীতম ভকত। বাঁকুড়া সদর থানায় বাঁকুড়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ধৃতকে জিজ্ঞসাবাদ করে পুলিশ প্রীতমের বন্ধু অভীক মিত্র নামে আর একজন কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত (Court)।
চিফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজস্ট্রেট কোর্টে একাউন্টস ক্লার্ক এর পদে থেকেই মোটা টাকা আত্মসাৎ-র অভিযোগ সামনে আসতেই প্রীতম ভকত নামে বাঁকুড়া আদালতের এক করনিক কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে প্রীতম ভকত বর্তমানে বাঁকুড়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বেঞ্চ-১ ক্লার্ক পদে কর্মরত। এর আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একাউন্টস ক্লার্কের পদে ছিল। ওই পদে থেকেই মোটা অংকের টাকা তছরূপ করেছে সে। জানা গিয়েছে, পুজোর মুখে বাঁকুড়া জেলা আদালতের কর্মীদের বোনাস সংক্রান্ত নথিপত্র তৈরীর সময় টের মেলে একাধিক কর্মী ও বিচারকের নামের বানান ভুল লিখে বেতনের টাকা অন্য একাউন্টের মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে, যা নজরে আসে আদালত কর্তৃপক্ষের। এরপরেই মঙ্গলবার প্রীতম ভকতের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা তছরূপের অভিযোগ জানানো হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এই অভিযোগ দায়ের করেন বাঁকুড়া সদর থানায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২.৩৩ কোটি টাকা এইভাবেই আত্মসাত করেছে প্রীতম ভকত । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রীতম ভকত নামের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । প্রীতমের সঙ্গে যোগ রয়েছে অভীক মিত্র নামে আরও এক জন। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে একসময়ের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আকাউন্টস ক্লার্ক পদে থাকা ও বর্তমানে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বেঞ্চ ওয়ান ক্লার্ক প্রিতম ভকত আদালতের একাধিক কর্মীর নামের বানান বিকৃতি ঘটিয়ে তাদের পৃথক কর্মী হিসাবে দেখিয়ে তাঁদের নামে মাসের পর মাস মাইনে আত্মসাৎ করে গেছে। শুধু কর্মীদের নামের বানান বিকৃতি করে নয়, বেশ কয়েকজন বিচারকের নামের বানান বিকৃতি করেও একই কান্ড করেছে প্রীতম। তদন্তে পুলিশের হাতে এই তথ্যও সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি অভিযুক্ত প্রীতম ভকত গতবছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৩ মাসের মাইনের টাকা ভুয়ো কর্মী ও বিচারকদের নামে করে আত্মসাত করেছে।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: 'শুভ মহালয়া', 'মা দুর্গাকে প্রণাম' জানিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদী-মমতার
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ জনের বেশী ভুয়ো কর্মী ও বিচারক দেখিয়ে তাদের মাইনের টাকা আত্মসাত করেছে প্রীতম এই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে বিপুল পরিমাণ এই টাকা আত্মসাৎ করার ক্ষেত্রে প্রীতম সাহায্য নিয়েছিল তার বন্ধু অভিক মিত্রের। প্রীতমের বন্ধু অভীক মিত্র কেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি নামের বানানে বিকৃতি ঘটিয়ে ভুয়ো কর্মী তৈরী করে তাদের মাস মাইনের টাকা সরাসরি অভিক মিত্রর ব্যাঙ্ক আকাউন্টে জমা করার ব্যবস্থা করেছিল প্রিতম। ধৃত দুজনকে বুধবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ধৃতদের জিজ্ঞসাবাদ করে আর্থিক তছরূপের আরও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা