সংক্ষিপ্ত
বসিরহাট মহকুমার ন্যাজোট থেকে নৌকায় করে লোহার রড সহ বাড়ি তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম কালিনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরই মাঝে বেতনী নদীতে জোয়ার আসে। সেই সময় নদীতে অতিরিক্ত ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।
রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Jawad) প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, জাওয়াদের প্রভাবে রবিবার (Sunday) থেকেই টানা বৃষ্টি (Rain) হয়ে চলেছে কলকাতা (Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিভিন্ন জেলায়। নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর সেই দুর্যোগের মধ্যেই নৌকাডুবির (Boat overturned) খবর পাওয়া গেল সুন্দরবনে (Sundarbans)। নদীতে (River) পড়ে গেলেন দশজন যাত্রী। ন্যাজোট (Nazat) থেকে কালিনগর যাচ্ছিল নৌকাটি। জোয়ারের জলের অতিরিক্ত ঢেউ থাকার ফলে নৌকাটি একদিকে কাত হয়ে যায়। আর তার জেরেই এই ঘটে যায় বিপত্তি।
বসিরহাট মহকুমার (Basirhat subdivision) ন্যাজোট থেকে নৌকায় করে লোহার রড সহ বাড়ি তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম কালিনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরই মাঝে বেতনী নদীতে জোয়ার আসে। সেই সময় নদীতে অতিরিক্ত ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এছাড়া বৃষ্টির কারণেও নদীতে জলের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। ফলে টাল সামলাতে না পেরে নৌকাটি একদিকে কাত হয়ে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে তা উল্টে যায় নদীতে। তখনই নদীর জলে পড়ে যান ১০জন যাত্রী।
"
এরপর স্থানীয় মাঝি মল্লার ও আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা নদী থেকে সবাইকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পাশাপাশি নৌকা কাত হয়ে যাওয়ায় লোহার রড ও অন্যান্য সামগ্রীও নদীতে পড়ে যায়। তবে সেই সময় নদী খুব বেশি উত্তাল না থাকায় যাত্রীরা সবাই অল্পের জন্য রক্ষা পান। এদিকে, এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে যে জাওয়াদের কারণে বারবার প্রশাসনের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল যাতে কয়েকদিন ফেরিঘাট বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু তারপরও কীভাবে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পণ্যবাহী নৌকাটি চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ন্যাজোট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের জেরে প্রবল দুর্যোগ, জমা জল সরাতে চালু হল পাম্প
ইতিমধ্যেই নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বসিরহাট জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেশখালি ন্যাজোট ১ নম্বর ব্লকের কালিনগর কাছে বেতনী নদীতে একটি পণ্যবাহী নৌকা জোয়ারের ঢেউতে ডুবে যায়। নৌকায় মাঝি সহ প্রায় ১০ জন নদীতে পড়ে যান। তারপর স্থানীয়দের সাহায্যে কোনওরকমে সাঁতরে তাঁরা পাড়ে ওঠেন। কেউ নিখোঁজ হননি। অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বসিরহাট মহকুমার ন্যাজোট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা জোয়ারের সময় সব নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী, প্রশাসনের তরফে এনিয়ে মাইকিংও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-Cyclone Jawad Update: ঝোড়ো বৃষ্টি শুরু ওডিশায়, খাঁ খাঁ করছে পুরীর সমুদ্র সৈকত
জাওয়াদের প্রভাবে রবিবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও বৃষ্টির দাপট কমবে না। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সেখান থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।