সংক্ষিপ্ত
রবিবার মহাদশমী, জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে মাতল চন্দনগর। দশমীর পুজো শেষে মা কে বরণ করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে, শুরু হয়েছে প্রতিমা ভাসান, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮ টি ঘাট ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
রবিবার মহাদশমী দশমীতে জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Pujo 2021) বিসর্জনে মাতল চন্দনগর (Chandannaga)। সরকারি আদেশনুযায়ী এবার শোভাযাত্রা হবে না। তাই দশমীর পুজো শেষে মা কে বরণ করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। বেলা ১২ টা থেকে শুরু হয়েছে প্রতিমা ভাসান।চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮ টি ঘাট ভাসানের ( Idol Immersion) জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
;
এদিন ৮০ টি প্রতিমা ভাসান হবে। আগামী কাল ৯১ টি। সোমবার সকাল ৯ টা থেকেই ভাসান পর্ব শুরু হয়ে যাবে। চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮ টি ঘাট ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মূলত রানীঘাট, শিববাটি ঘাট এবং ভদ্রেশ্বর শ্রীমানি ঘাটে বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিত সাউ। প্রসঙ্গত, প্রতিবছৎই দুর্গাপুজোয় কলকাতা, কালী পুজোয় বারাসাত এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে ওঠে গোটা চন্দননগর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এবার শহরের অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে ছিল চন্দননগর তেমাথা, যেখানে ছিল শহরের সবচেয়ে উচ্চ প্রতিমা। এছাড়া আরও তিন বিখ্যাত পুজো হল দৈবক পাড়া, নতুন তিলি ঘাট এবং হাটখোলা মনসাতলা।
এবারে বেশ কিছু পূজামণ্ডপ দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তার এর মধ্যে এগিয়ে হাটখোলা মনসাতলা।হাটখোলা মনসাতলা পুজো এবার ৬০ বছরে অর্থাৎ হীরক জয়ন্তী পালন করছে। তাদের এবারের মণ্ডপ টি সম্পুর্ন গোটা হলুদ দিয়ে তৈরি হয়। মোট ১০০০ কিলো হলুদ দিয়ে এই মণ্ডপ তৈরি হয়। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই বিশাল দুটি প্রতীকী হাঁড়ি রাখা। বোঝানো হয়েছে এটি রন্ধনশালা।হাটখোলা মনসাতলা পুজো কমিটির সহ সভাপতি লাল্টু সরকার জানিয়েছেন, আমরা জানি হলুদ অ্য়ান্টিবায়োটিক। এই করোনা আবহে প্রাকৃতিক উপায়ে মণ্ডপ সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত হবে। এমন ধ্যান ধারণা নিয়েই হীরক জয়ন্তীতে এই মণ্ডপ তৈরি করা।প্রায় ১৫ লাখ টাকা বাজেটের এই পুজো মণ্ডপটি তৈরি করতে সময় লেগেছে তিনমাস। বলা বাহুল্য এই মণ্ডপ টি নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চন্দননগর নতুন তিলিঘাট পুজো কমিটি তাদের পুজো মণ্ডপ টিতে প্রকৃতির রূপ দিয়েছে। মণ্ডপ টির চারধারে জঙ্গল, হরিণ, পুকুর, হাঁস সবই ছবি ও আলোর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।এছাড়া হেলাপুকুর ধার এবার রাজ রাজেশ্বরী মন্দির তুলে এনেছে মণ্ডপে। এই মণ্ডপটিতে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। স্যানিটাইজার গেট পেরোলেই কচি কাঁচার দল ভলিনটিয়াটি করছে।
আরও পড়ুন, 'ইনডোর ম্যাচ নয়, আউটডোর খেলি', তথাগত-র তোপের পাল্টা এবার দিলীপ
প্রথমে অবশ্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের প্রধান অর্ণব ঘোষ জানিয়েছিলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চন্দননগরে বহাল থাকছে নাইট কারফিউ। কমিশনারের এই সিদ্ধান্তে পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তারপরই এই সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেয় রাজ্য সরকার। জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা মাথায় রেখে চন্দননগরের রবীন্দ্রভবনে সোমবারই একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছিলেন পুলিশ কমিশনার। প্রশাসনের তরফে এই বছর ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগর মিলিয়ে মোট ৩০০ টি পুজোকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের মোট দেড় হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল পুজো মণ্ডপে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে