সংক্ষিপ্ত
'পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাব'। বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ডি ওয়াই এফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের
'পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাব'। বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ডি ওয়াই এফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদক ও সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। সোমবার বর্ধমানে মিছিল হয় ডিওয়াইএফআইয়ের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্বরে জমায়েত হয়। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের উজ্জিবীত করতে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্ণীতির পাশাপাশি গরি পাচার-কয়লা কেলেঙ্কারির মত বিষয়গুলি তুলে ধরেন।
মীনাক্ষী বলেন, এখন আর কোনও পোস্টারে সততার প্রতীক লেখা নেই। কারণ তৃণমূল নেতারা একে একে জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছে। তাদের একাউন্টেও বহু টাকার হদিস পাচ্ছে তদন্তকারীরা। তিনি বলেন, এখন রাজ্যে চাকরি পেতে মেধা লাগেনা, যোগ্যতা লাগেনা, অর্পিতা লাগে- পার্থ লাগে। অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে এইভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন ডি ওয়াই এফ আইয়ের নেত্রী। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি ।
সোমবার বিকালে ‘স্বাধীনতা বাঁচাও, কাজের অধিকার দাও’ এই দাবীতে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মিছিল করে ডি ওয়াই এফ আই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। কার্জনগেট পর্যন্ত এই মিছিলের সামনে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বপ্ন দেখলাম আর রাজারাণীর মূর্তি এনে কার্জনগেটে বসিয়ে দিলাম, এইভাবে স্বাধীনতা আসেনি। সেই স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের অধিকার আজ নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ভূমিকা নেই। হিন্দু মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টানরা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছে। তিনি বলেন, 'আমরা অনুব্রত নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ, গরু চোর নিয়ে আমরা কেন কিছু বলবো? শুধু এটা বলবো, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রতরা তাঁদের মেয়ের ভবিষ্যৎ, চিন্তা ভাবনাকে নষ্ট করেছে।' তিনি বলেন এই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের বোঝানো হয়েছে চাকরি পেতে গেলে দিদি ও টাকা লাগে- পার্থ লাগে আর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা লাগে। এরাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে যে স্কুলে চাকরি করত, সেই স্কুলের পরিচালনা সমিতি, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি।
কর্মসংস্থান নিয়েও সরব হন বামনেত্রী। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষা, রেল, ডাক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্য পদ রয়েছে। অবিলম্বে তা পুরণ করতে হবে। কিন্তু মেধা বঞ্চিত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলা দিয়ে বামপন্থীদের গ্রেফতার করে রেখেছে। কিন্তু ২১৮ দিন হয়ে গেলেও আনিশ খানের খুনিরা সাজা পায়নি। তাই আমরা ২১৮টা সভা করব। চোরদের জেলে ভরার সভা। চোরদের বিরুদ্ধে এক কোটি সই সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচীতে কোন বাধা মানা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে কাজ করা পুলিশদেরও সতর্ক করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দূরশিক্ষা তুলে দেওয়া, কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, , অন্যায়ের বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানান মীনাক্ষী।
দীলিপ ঘোষের 'সিবিআই সেটিং' মন্তব্যে ক্ষুব্ধ শীর্ষ বিজেপি, রিপোর্ট তলব অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার
Durga Puja 2022: ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু দুর্গাপুজোর উৎসব, শেষ হচ্ছে ৮ অক্টোবর- ঘোষণা মমতার
'বলিউডের পাপ্পুফিকেশন হচ্ছে', রাহুলের সঙ্গে হিন্দি সিনেমার তুলনা স্বরা ভাস্করের