সংক্ষিপ্ত
'গ্রিক' ও 'ইতালিয়ান' স্থাপত্যের আদলে তৈরি ঐতিহাসিক শিক্ষার পীঠস্থান 'নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউট'কে 'হেরিটেজ' ঘোষণার দাবি। ১৮২৪ সালে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি নবাব হুমায়ূন জার সুপারিশ ক্রমে তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৮২৫ সালের ২৭ মে ওই কলেজ খোলার অনুমতি প্রদান করেন।
'গ্রিক' ও 'ইতালিয়ান' স্থাপত্যের আদলে তৈরি ঐতিহাসিক শিক্ষার পীঠস্থান 'নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউট'কে 'হেরিটেজ' ঘোষণার দাবি(Demand for declaration of Nawab Bahadur Institute as Heritage) মুর্শিদাবাদে (Murshidabad )। 'হেরিটেজ কমিশন' এর কাছে এই দাবি তুলে সরব শহরের বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সাংসদ।
তাঁদের দাবি ইতিমধ্যে হেরিটেজ কমিশন রাজ্যের কয়েক টি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়কে হেরিটেজ ঘোষণা করলেও নবাব বাহাদুরের মতো প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ বিদ্যালয়কে এখনও হেরিটেজ বলে ঘোষণা করে নি। অবিলম্বে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নবাব বাহাদুর বিদ্যালয়কে স্বীকৃতি প্রদান করুক।পাশ্চাত্য শিক্ষার আদলে নিজামত পরিবার কে শিক্ষিত করে তুলেতে নবাব নাজিম সৈয়দ মহম্মদ আলী খাঁ ওরফে ওয়ালা জা নবাব নগরীতে কলেজ স্থাপনের উৎসাহ প্রকাশ করেন । ১৮২৪ সালে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি নবাব হুমায়ূন জার সুপারিশ ক্রমে তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৮২৫ সালের ২৭ মে ওই কলেজ খোলার অনুমতি প্রদান করেন ।ইসলামিক স্থাপত্যের স্মারক মোবারক মহলে প্রথমে কলেজের পঠন পাঠন শুরু হলেও ,কিছু দিনের মধ্যেই কর্নেল ম্যাকলয়েড ওই কলেজ ভবনের নকশা করেন ।এই ম্যাকলয়েড সাহেবই হাজারদুয়ারি প্রাসাদের নকশা করেছিলেন । ওই সময় গ্রীক(ডোরিক) ও ইতালিয়ান স্থাপত্যের আদলে কলেজ গড়ে তুলতে নিজামত ডিপোজিট ফান্ড থেকে ৭৬,৫০০ টাকা ব্যয় করা হয় ।সঠিক ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে লন্ডন মিশনারি সোসাইটি থেকে নিয়ে আসা হয় রেভারেন্ড মিঃ প্যারটনকে।
১৯০৫ সালে নবাব বাহাদুর ওয়াসেফ আলী মির্জা ইংরেজি , আরবি ,পারসি, বাংলা , উর্দু ও গণিতের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের পড়াশুনার সুবিধার জন্য কলেজ ও স্থানীয় বিদ্যালয়কে সংযুক্তিকরণ করেন , তখন থেকে ওই বিদ্যালয়ের নামকরণ হয় নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন । ফলে জেলার প্রাচীনতম বিদ্যালয় এবং ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ এই বিদ্যালয়টিকে হেরিটেজ ঘোণার দাবিতে আওয়াজ তুলেছেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সাংসদ । এই ব্যাপারে প্রাক্তনী সাংসদের সম্পাদক ইন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন , “ একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর দাঁড়িয়ে আছে নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউট । এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্যমে নবাব দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন এবং এর প্রসার করতে চেয়েছিলে । ঐতিহাসিক দিক থেকেও এই বিদ্যালয়ের গুরুত্ব অপরিসীম ।সুতরাং বিদ্যালয়টিকে অবিলম্বে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক ।”
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে