সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে
- ১ জুলাই পর্যন্ত বেড়েছে মেয়াদ
- তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
- বার খুললে লাভ সরকারের, মন্তব্য দিলীপের
করোনা পরিস্থিতির উপর রাশ টানতে রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। আর সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ ১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল, বার ও রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধ রাখছে কারণ স্কুল খুললে সরকারের খরচ বাড়বে। অথচ বার খুলে দিচ্ছেন। কারণ বার খুললে লাভ হবে সরকারের। বারে গিয়ে পার্টির নেতারা মস্তি করবে। তাই স্কুল বন্ধ করে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে বার খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার খুলে দেওয়া হোক।"
রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গতি এখন নিম্নমুখী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সংক্রমণের উপর রাশ টানতে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে একাধিক ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ছাড়গুলি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ, সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার
করোনার উপর লাগাম টানতে আপতত বাস, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। এছাড়া, নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা যাবে বেসরকারি সংস্থা। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার, মুদির দোকান ইত্যাদি। এ ছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অন্য দোকান খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন- বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ
এদিকে গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। যদিও শোভন-বৈশাখী দুজনেই জানান, "পার্থদার মা মারা গিয়েছেন তাই দেখা করতে গিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে পার্থ দার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই এসেছি। রাজনীতি নিয়ে কিছু বলতে চাই না।" এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ঢেউয়ে অনেকেই বিজেপিতে এসেছিলেন, ধান্দা করতে পারছেন না তাই এখন আবার তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন। এতে বিজেপির ক্ষতি হবে না। দলের পুরোনো নেতারা, কর্মীরা বিজেপিতেই আছেন।"