সংক্ষিপ্ত
টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে স্মৃতির শহরে সহকর্মী চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। যিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করেছেন। নববর্ষের দিনে বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে কাটানো সেই অন্যতম মুহূর্তের কথা এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।
টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে স্মৃতির শহরে সহকর্মী চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। যিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করেছেন। নববর্ষেদিনে এহেন খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রখ্যাত গাইনেকোলজিস্ট ও ভারতবর্ষের কৃত্রিম প্রজননবিদ্যার অন্যতম পথপ্রদর্শক, প্রফেসর চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, সকাল ৯ টা ৪০ মিনিটে শহরের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে কাটানো সেই অন্যতম মুহূর্তের কথা এদিন চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সিনিয়র এডিটর দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
বিশেষ সাক্ষাতকারে চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহু বছরের। মাঝাখানে অবশ্য আমাদের দুই জনের আলাদা সেন্টার ছিল। তবে একটা সময় আশির দশকে আমরা সকাল-দুপুর-রাত অবধি কাজ করতাম। উনি অসুস্থ ছিলেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,' বেশ কয়েকদিন বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ওনার দুবার করোনা হয়েছিল।' শুধু সেরিব্রাল স্ট্রোকই নয়, চিকিৎক চক্রবর্তী নিউমোনিয়া সহ একাধিক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৭ মার্চ থেকে 'ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল'- এর সিসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তিনি বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর পারিবারিক উপস্থিতি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। প্রসঙ্গত, কৃত্রিম উপায়ে প্রজননের ক্ষেত্রে চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর পরিচিতি দেশ জুড়ে। ১৯৮৬ সালে তিনি কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য আইআরএম অর্থাৎ ইনস্টিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন প্রতিষ্ঠা করেন।পরবর্তীকালে গবেষণাপত্র তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিউট ফর ম্যাডিক্যাল রিসার্স-র (আইসিএমআর) হাতে তুলে দেন। এই বর্ষীয়ান চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন অসংখ্য নিঃসন্তান মায়ের কোল ভরিয়ে দিয়েছে। সন্তানলাভে আজ খুশি সেই সকল মা।
এপ্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব বেবির সৃষ্টিকর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা তুলে এনেছেন। বিশেষত তাঁর সঙ্গেও কাজ করার পরেই টেস্ট টিউব শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সাহচার্য পান তিনি। তবে চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, এই সমাজ কখনও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। বরং বারবার প্রতিবন্দকতা এসেছে তাঁদের কাজে। উল্লেখ্য, প্রতিবন্দকতা পেয়েছিলেন ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব বেবির সৃষ্টিকর্তা সুভাষ মুখোপাধ্যায়ও। আজ এত বছর পরে যাকে নিয়ে সবাই চিকিৎসামহলে মাথায় করে রাখে, তিনিও একটা সময় তার গবেষণা পত্র নিয়ে অবহেলার শিকার হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে তাকে যেতে বাধা দেয়। তীব্র অপমানে শেষ অবধি আত্মহত্যা করেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। যদিও পরবর্তীতে ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন অর্থাৎ নলজাতক গবেষণা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনিই ছিলেন অগ্রগণ্য। তবে কম বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাকে আর তার সহকর্মীকেও, স্মৃতির শহরে পাড়ি দিয়ে বললেন চিকিৎসক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।
আরও পড়ুন, মাঝদুপুরে মটনকষা বা ইচ্ছে হলেই ইলিশ খান পাত পেড়ে, পয়লাবৈশাখে ডেলিভারি দেবে রাজ্য