সংক্ষিপ্ত

এখন আর কুলিকের জলে ভাসে না বাংলাদেশের বনিকদের বজরা, আসেনা বাংলাদেশের বনিকেরাও। কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি রায়গঞ্জে বনিকদের প্রচলন করা সেই দূর্গাপূজা।  

 

 প্রতিবছর সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় রায়গঞ্জের দুর্গা পুজো ( Durga Pujo in Raiganj)।  পাঁচশো বছর আগে বাংলাদেশের বনিকেরা বানিজ্য করতে এসে তাঁদের নৌকা বা বজরা নোঙর করতেন কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে। সেই বনিক সমাজের এক সওদাগর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে কুলিক নদীর ধারে রায়গঞ্জ বন্দরে প্রচলন করেছিলেন দূর্গাপুজার (Durga Pujo 2021)।  সেই পুজো রায়গঞ্জ শহরের বন্দর এলাকার বাসিন্দাদের,  রায়গঞ্জ আদি সার্বজনীন দূর্গাপূজা' হিসেবে পরিচিত। সাধারন মানুষ থেকে এলাকার ব্যাবসায়ীরা চাঁদা দিয়ে এই পূজোর ব্যায় নির্বাহ করে থাকেন। 

আরও পড়ুন, Durga Puja: শিকেয় কোভিড বিধি, মহালয়ায় মা দুর্গার চক্ষুদান দেখতে ভিড় উপচে পড়ল কুমোরটুলিতে

অধুনা বাংলাদেশের বনিক সমাজ বড় বড় নৌকা আর বজরা নিয়ে বানিজ্য করতে এসে নোঙর করতেন রায়গঞ্জের বন্দর কুলিক নদীর ঘাটে। কথিত আছে তাঁরাই  রায়গঞ্জ আদি সার্বজনীন দূর্গোৎসবের প্রচলন করেছিলেন। এরপর কুলিক নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দেশ ভাগ হয়ে এপার বাংলা ওপার বাংলা হয়েছে। এখন আর কুলিকের জলে ভাসে না বাংলাদেশের বনিকদের বজরা। আসেনা বাংলাদেশের বনিকেরাও। কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি বনিকদের প্রচলন করা সেই দূর্গাপূজা। এলাকার বাসিন্দারাই চাঁদা তুলে সার্বজনীনভাবে দূর্গাপুজো করে চলেছেন।রায়গঞ্জ আদি সার্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা রূপেশ সাহা জানিয়েছেন, তাদের সাত পূর্বপুরুষও জানাতে পারেননি, এই পূজোর বয়স কত। তবে  এখানকার দেবী দূর্গা খুবই জাগ্রত নিয়মনিষ্ঠা করে পুজো করা হয় এখানে। পাঁচশো বছরের পুরোনো সেই একই কাঠামোতে আজও দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করা হয়ে থাকে। মহাষ্টমীতে হাজার হাজার ভোগের ডালা পড়ে এই মন্দিরে।

আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: 'শুভ মহালয়া', 'মা দুর্গাকে প্রণাম' জানিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদী-মমতার

অপরদিকে, পুজোর প্রচলন নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন বাংলাদেশের বনিকেরা বানিজ্য করতে এসে রায়গঞ্জ কুলিক নদীর বন্দর ঘাটে নোঙর করে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে দূর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন। আবার কেউ বলেন, বাংলাদেশের কোনও জমিদার এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। রায়গঞ্জ আদি সার্বজনীন দূর্গাপূজা নিয়ে রায়গঞ্জ শহর তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষের কাছে একটা আলাদা উন্মাদনা রয়েছে। জাগ্রত বলে বহু দূর দূরান্ত থেকে পূন্যার্থীরা দূর্গাপূজায় ভোগ আর অঞ্জলি দিতে আসেন।  এখানকার দেবীর কাছে মানত করলে তা পূরণ হয়। আর যে কারনে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে বন্দর আদি সার্বজনীন দূর্গোৎসবে।

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

YouTube video player