সংক্ষিপ্ত
- রুজিরুটির টানে হকারি করলেও কাঁধে তুলে নিয়েছেন সমাজের গুরুদায়িত্ব
- পেশায় লজেন্স চানাচুর ও মুখরোচক খাবার বিক্রেতা
- গাড়িতে করে হকারি করেন জেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে
- পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কিংকর মালিক নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান
এ এক অন্য হকার। রুজিরুটির টানে হকারি করলেও কাঁধে তুলে নিয়েছেন সমাজের গুরুদায়িত্ব। পেশায় লজেন্স চানাচুর ও মুখরোচক খাবার বিক্রেতা। গাড়িতে করে হকারি করেন জেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কিংকর মালিক নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান।
ছাত্রদেরই জয়, আচার্য-কে ফিরিয়ে দিয়েই শুরু যাদবপুরের সমাবর্তন
জমানো পয়সায় কেনা ছোট দু চাকা গাড়িতে লাগিয়েছেন সাউন্ড সিস্টেম। দোকানের প্রচারের বদলে সেখান থেকে সমাজ সচেতনাতার পাঠ দেন কিংকর। দশটি জেলায় ইতিমধ্যেই ঘুরে ফেলেছে সেই মোটরবাইকে। কখনও তাঁর প্রচার গাড়িতে স্থান পেয়েছে 'একটি গাছ একটি প্রাণ' কখনও বা নোংরা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার শিক্ষা দেন হকারবাবু। বহু বার বলা সত্ত্বেও এখনও টাকার মধ্য়ে লেখার অভ্য়েস বদলায়নি মানুষের। সেই অভ্য়েস বদলাতে সবার কাছেই আবেদন জানান তিনি।
যাদবপুরে গো ব্যাক স্লোগান, রাজ্যপালকে ছাড়াই বার্ষিক সমাবর্তনের সম্ভাবনা
রাজ্য়ে সাম্প্রতিক হিংসায় বহু কোটির রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। সেই হিংসা বন্ধেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন কিংকর। রাজ্য়বাসীর কাছে তাঁর আবেদন, গুজবে কান দেবেন না। হিংসার সাথে নয় রাজনীতি করুন খুশির সাথে। এখানেই শেষ নয়। সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে নয়, নিয়ে যান হাসপাতালে- কিংকরের গাড়ি থেকেই চলে এই প্রচার। খোলা জায়গায় মলত্যাগ করবেন না, গাড়ি চালানোর সময় হেলমেট পড়ার পড়ামর্শ দেন পূর্ব বর্ধমানের এই হকার। বাইকে পোস্টার লাগিয়ে চলে এই প্রচারপর্ব।
তবে ব্য়বসার মধ্য়েও রেখেছেন সামাজিকতার ছোঁয়া। যারা দু:স্থ তাদের বিনামূল্যে গাড়ি থেকে খাবার দেন। শুধু তাই নয় সারাদিনে ৪০০ টাকা রোজগার করলে ১০০ টাকা তিনি দান করেন। ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। ছাত্রছাত্রীদের কেউ ১০ টাকার খাবার খেলে তাদের কাছে নেন ৯ টাকা। একই ছাড়ের নীতি রয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্যও। তারা ১০ টাকার কিনলে নেন ৪ টাকা। সিনিয়র সিটিজেনদেরও তাঁর গাড়ি থেকে খাবার কিনলে দেওয়া হয় বিশেষ ছাড়।
বিজেপি-কেই তাড়িয়ে দেবে মানুষ, ঝাড়খণ্ডের ফল দেখে আরও উজ্জীবিত মমতা
আগে আখের রস বিক্রি করতেন কিংকর। দুঃস্থ প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে আখের রস খাওয়াতেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ ছাড়ে আখের রস বিক্রি করতেন। তবে এখন ব্যবসা বদল-এর সঙ্গে সঙ্গে কাঁধে তুলে নিয়েছেন আরও বড় দায়িত্ব। অচেতন সমাজকে সচেতনতার পাঠ দেওয়াই এখন ব্রত কিংকর মালিকের।