সংক্ষিপ্ত
প্রথমে নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল। এনআইএ এবং বিজেপির মধ্যে যোগসাজশ নিয়ে তোলা হয় প্রশ্ন। তবে কমিশনে কোনো সুরাহা না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শাসকদল।
গত ২৬ মার্চ এনআইএ-র সুপার ধনরাম সিং-এর ফ্ল্যাটে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এই অভিযোগ তুলে বক্তব্যের স্বপক্ষে কিছু প্রমাণ দেখিয়েছিল তৃণমূল। অভিযোগ এসপি-কে সাদা খামে করে টাকা দিয়েছে বিজেপি। জিতেন্দ্র যে এনআইএ আধিকারিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন তার সিসিটিভি ফুটেজও তাদের কাছে আছে বলে দাবি করে তৃণমূল। আদর্শ আচরণ বিধি চলাকালীন বিজেপি নেতার এনআইএ কর্তার বাড়িতে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল।
ধনরাম সিং-এর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে তার বদলি চেয়ে প্রথমে নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল। এনআইএ এবং বিজেপির মধ্যে যোগসাজশ নিয়ে তোলা হয় প্রশ্ন। তবে কমিশনে কোনো সুরাহা না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শাসকদল। শাসকদলের অভিযোগ, গত ২৬ মার্চ ধনরাম সিং-এর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিং। কেন তদন্তকারী সংস্থার সুপারের বাড়িতে যাবেন পদ্ম শিবিরের নেতা এই নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তবে হাইকোর্টেও মিলল না স্বস্তি।
তৃণমূলের করা আর্জিতে এদিন আদালত জানিয়ে দিল এই বিষয়ে কোনও রায় বা নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নেই তাদের। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ-র সুপার পদমর্যাদার আধিকারিককে বদলির যে আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই আবেদনে সায় দিল না উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে এনআইএ দাবি করে, তদন্ত থেকে বাঁচতেই অভিযুক্তরা এই ধরনের পদক্ষেপ করছে। এদিকে আদালতে কমিশন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বদলি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তাই এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।