- Home
- West Bengal
- Kolkata
- সুদ নিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কেন্দ্রের সমান DA? বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট ঘোষণা!
সুদ নিয়ে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কেন্দ্রের সমান DA? বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট ঘোষণা!
সুপ্রিম কোর্ট শেষপর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে দ্রুত বকেয়া ২৫% মহার্ঘ ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোষাগারের হাল খারাপ রাজ্য সরকারের। তবে দুর্দান্ত ঘোষণা করা হয়েছে বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য!

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২৫% ডিএ দিতে গিয়ে রীতিমত বেকায়দায় রাজ্য সরকার। একাধিক কঠিন চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সামনে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ নাকি রাজ্যের GDP-র প্রায় ৩৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫% দিয়ে দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গে সরকারকে।
রাজ্যের সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্তদের ২৫% ডিএ দিতে রাজ্য সরকারের খবর হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বা তারও বেশি টাকা।
এমনিতেই রাজ্যের (West Bengal) অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা। আর তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
বকেয়া DA নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো।
পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বহুদিন ধরেই তাদের বকেয়া ডিএ পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। আর এবার সুপ্রিম কোর্ট তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এহেন রায়কে অভাবনীয় বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে নেতারা।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পরে যায় রাজ্য জুড়ে।
তিনি জানিয়েছেন, “ রাজ্য সরকারের এই বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মীরাই উপভোগ করবে তা কিন্তু নয়, বরং পৌরসভা, পঞ্চায়েত, সরকার পোষিত বিদ্যালয় এবং অন্যান্য সমস্ত সরকারি উদ্যোগের কর্মীরাও আইনত মহার্ঘ ভাতার অধিকারী। তাই বকেয়া ডিএ-র প্রতিটি পয়সা, ১০০ শতাংশ সুদসহ আদায় করা হবে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে সরকার প্রথমে তাঁদের এই DA-র লড়াইয়ে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ তিনি জানান যে কর্মরতদের একাংশকে DA দিয়ে বাকিদের বা অবসরপ্রাপ্তদের না দেওয়ার প্রবণতা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ হতে দেবে না এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তার মোকাবিলা করে সকলের জন্য সম্পূর্ণ পাওনা আদায় করবে।”
জানা গিয়েছে শীঘ্রই একটি বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যার মাধ্যমে কর্মীরা পরামর্শ ও সাহায্য চাইতে পারবেন।

