ভোট ম্যাপিং-এর জন্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক, এবারও 'ডাক পেলেন না' দিলীপ ঘোষ
এবারও ব্রাত্য দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের সবথেকে সফল রাজ্যসভাপতিকে বাদ দিয়েই শুরু হয়ে গেল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক। দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ছিলেন না দিলীপ ঘোষ।

'ব্রাত্য' দিলীপ ঘোষ
এবারও ব্রাত্য দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের সবথেকে সফল রাজ্যসভাপতিকে বাদ দিয়েই শুরু হয়ে গেল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক। দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ছিলেন না দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক
শুক্রবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের বিজেপি দফতরে শুরু হয়েছে কোর কমিটির বৈঠক। ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কলতকাতায় থাকা কোর কমিটির সদস্যরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এবারও ডাকা হয়নি দিলীপ ঘোষকে।
আলোচনায় কলকাতা
বিজেপি সূত্রের খবর উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, যাদবপুর- দলের এই চারটি সাংগঠনিক জেলার ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং করা হবে। তারওপর ভিত্তি করেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রণকৌশল স্থির করবে বিজেপি। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও ডাকা হয়নি দিলীপ ঘোষকে। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিজেপি সূত্রের খবর কোর কমিটির বৈঠকে দিলীপের প্রসঙ্গ ওঠে। কিন্তু কি আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।
কেন ব্রাত্য় দিলীপ?
কেন বিজেপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে? যা নিয়ে বিজেপির নিচুতলায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের একাংশের মতে দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা বর্তমানে রাজ্য বিজেপির নেতাদের থেকে অনেক বেশি। তিনি দক্ষ সংগঠকও । সেই কারণেই বর্তমান নেতারা তাঁকে এড়িয়ে চলার পক্ষপাতি। তবে অন্য একাংশের মতে মমতার সঙ্গে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়া দল মোটেও ভালভাবে নেয়নি। সেই কারণে কেন্দ্রীয় নেতাদের কোপে এখনও পড়ে রয়েছেন দিলীপ।
বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা
বিজেপি সূত্রের খবর আলোচনায় বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে রীতিমত হতাশ ভূপেন্দ্র যাদব। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বিজেপির সংগঠনে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত নির্বাচনে এই এলাকায় ভোটের ফলাফল মোটেও আশাপ্রদ ছিল না । তাই আসন্ন নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামছে বিজেপি। কিন্ত দলের এক নেতার কথায় এই অবস্থায় সবথেকে জরুরি ছিল দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক দক্ষতা। যা দিলীপের মতই ব্রাত বিজেপিতে।

