Actress Rupa Dutta: ২০২২ সালের পর এবার ২০২৫। চুরির মামলায় ফের গ্রেফতার টেলি অভিনেত্রী রূপা দত্ত। কী পাওয়া গিয়েছে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে? বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Kolkata Crime News: ফের চুরির মামলায় গ্রেফতার টেলিভিশন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে সোনার গয়না। পোস্তা থানার চুরির মামলায় টেলিভিশন অভিনেত্রী রূপা দত্ত (৪২)-কে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাবোর্ন রোডের নন্দরাম মার্কেটের কাছে তাকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন মহিলা পুলিশরাও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ অক্টোবর বিকেল ৪টা ১৫ থেকে ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পোস্তা থানার আদি বাঁশতলা লেনের একটি দোকানে কেনাকাটা করার সময় অভিযোগকারিণী দীপা আগরওয়ালের ব্যাগ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি কিছু জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়—
কী কী জিনিস চুরি করেছেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত?
১) প্রায় ২০ গ্রাম ওজনের একটি সোনার মঙ্গলসূত্র।
২) ভৈষ্ণোদেবীর লকেট-সহ একটি মহিলাদের সোনার গলার চেন (ওজন প্রায় ২১ গ্রাম)।
৩) দুটি সোনার ব্রেসলেট (ওজন যথাক্রমে ১৩ গ্রাম ও ৯ গ্রাম) এবং নগদ ৪,০০০ টাকা।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলের ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তিগত নজরদারির ভিত্তিতে রূপা দত্তের গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা মেলে। এরপরই বড়বাজার এলাকায় নজরদারি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা।
জিজ্ঞাসাবাদের পর রূপা দত্তের গড়িয়াহাটের ৬৩বি, গার্চা রোডের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সমস্ত সোনার গয়না—একটি মঙ্গলসূত্র, একটি গলার চেন এবং দুটি ব্রেসলেট—মোট প্রায় ৬২.৯৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, রূপা দত্ত আগে একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী ছিলেন, তবে গত কয়েক বছর ধরে তিনি এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁকে ৩১ অক্টোবর অর্থাৎ শুক্রবারই আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, বরানগরের পর এবার দমদম সিঁথি। একেবারে হিন্দি সিনেমার কায়দায় হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনা সমেত গাড়ি নিয়ে চম্পট দুস্কৃতী দলের। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি পুরো বন্দি হয় সিসিটিভি ক্যামেরায়। অভিযোগ, বুধবার বড়বাজার থেকে সিঁথিতে কারখানায় সোনা নিয়ে আসছিলেন নাকোড়া ওয়ার্কশপ নামে এক কোম্পানির কর্মী।
রাত আটটা নাগাদ তিনি স্কুটি নিয়ে কোম্পানির গেটে পৌঁছাতেই হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই দুস্কৃতী এসে তার স্কুটি নিয়ে চম্পট দেয়। স্কুটিতে ছিল প্রায় ২ কিলো ৩৮০ গ্রাম সোনা। বর্তমানে যার বাজার মুল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মী দুস্কৃতিদের পিছু নিলেও পরে তাদের আর খোঁজ পায়নি।
পরবর্তীতে সিঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় কোম্পানির তরফে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কোম্পানির ম্যানেজারের দাবি, স্কুটিতে প্রায় ২ কিলো ৩৮০ গ্রাম সোনা ছিল। সঞ্জিত দাস নামে তাদের এক কর্মী সোনা নিয়ে বড়বাজার থেকে কোম্পানিতে আসছিল। কোম্পানির গেটে এসে স্কুটি রেখে গেট খুলতেই পিছন থেকে এক দুস্কৃতী স্কুটিতে চেপে বসে সঞ্জিতের দিকে বন্দুক তাক করে। কর্মী ভয় পেতেই স্কুটি নিয়ে চম্পট দেয়। সঞ্জিত নামে ওই কর্মীর দাবি, তিনি স্কুটি রেখে গেট খুলতে গেলে বন্দুক নিয়ে ভয় দেখেই স্কুটি নিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দুস্কৃতীদের খোঁজ পেতে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


