- Home
- West Bengal
- Kolkata
- West Bengal News: আদালতে ঝুলে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা ভাগ্য, স্থগিত চূড়ান্ত রায়দান
West Bengal News: আদালতে ঝুলে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা ভাগ্য, স্থগিত চূড়ান্ত রায়দান
SSC Job Scam News: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। হকের চাকরি ফেরতের দাবিতে চলছে টানাপোড়েন। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এলো আরও বড় নির্দেশ। অ-শিক্ষক কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা আদালতের।

চাকরিহারাদের ভাতা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
এবার চাকরিহারা গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' কর্মীদের জন্য রাজ্যের ভাতা দেওয়ার মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে। রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন
শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা এবং মামলাকারীদের স্বার্থ নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য। মামলাকারীদের পাল্টা জবাব, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ওই কর্মীদের। সেই নির্দেশের অন্য মানে করা হচ্ছে।
ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এমন বিষয়ে আইনসভা বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কর দেন এমন যে কোনও নাগরিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন। জনগণের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা জানার অধিকার সবার আছে।
চাকরিহারা অ-শিক্ষক কর্মীদের জন্য ভাতা
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি ২০১৬ তে প্রায় ২৬ হাজার প্যানেল বাতিল হয়েছিল। তারমধ্যে গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' চাকরি হারারাও ছিলেন। গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' চাকরিহারাদের শ্রম দফতরের 'ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫' এর মাধ্যমে যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের
মে শেষের দিকে এই নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ততদিন এই ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের ভাতা দেওয়ার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীরা।
বিচারপতির দাবি
শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম সওয়াল আদালতে বলেন, ‘’সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ওই কর্মীদের। সেই নির্দেশের অন্য মানে করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এমন বিষয়ে আইনসভা বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।'' এদিকে তার জবাবে রাজ্য এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মামলাকারীদের স্বার্থ জড়িত?
রাজ্যের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে মামলাকারীদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে? তাঁরা কেন ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন? তার উত্তরে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, 'কর দেন এমন যে কোনও নাগরিকরা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন। জনগণের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা জানার অধিকার সবার আছে। ফলে মামলাকারীদের স্বার্থও এই ভাতা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত।'
রায়দান স্থগিত
এদিকে উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর আগেও ভাতা সংক্রান্ত মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
রাজ্যকে ভর্ৎসনা আদালতের
গত শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘'যারা এই টাকা পাবেন তাদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে?’'
ভাতার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন
তিনি আরও বলেন, ‘’সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? বেকারদের জন্য কি রাজ্য এই ধরনের কোনও প্রকল্প চালু করেছে বা চালু করার কথা ভাবছে? এই টাকার পরিমান কিভাবে কারা নির্দিষ্ট করল?’ গত ১ এপ্রিল থেকে টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে শুনে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, ‘কেন এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?’'

