Burrabazar Fire: বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেল মালিক আকাশ চাওলা ও হোটেলের ম্যানেজার গৌরভ কাপুরকে গ্রেফতার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। জানুন আরও

Burrabazar Fire: বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হোটেল মালিক আকাশ চাওলা ও হোটেলের ম্যানেজার গৌরভ কাপুরকে গ্রেফতার করল জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। দু'জনকেই ঘটনার পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। আজই দুজনকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এদিকে বুধবারই বড়বাজার ফলপট্টিতে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক টিম। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে হোটেলের প্রত্যেকটি তলায় নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় শহরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বড়বাজারের মেছুয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেোপাধ্যায়। দীঘা থেকেই তিনি যাবতীয় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন। কী কারনে এই অগ্নিকাণ্ড তা জানতে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের সিট।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ''কলকাতায় অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।''

Scroll to load tweet…

শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ''কলকাতা শহরের একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানীর দুঃখজনক খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।''

শহরে আগুনের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাবে, ২০১১ সালে কলকাতার ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়। বেসমেন্টে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে যায় বলে জানা যায় তদন্তে। তাতে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়। তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলা পৌঁছয় আদালতেও। ভোররাতে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রায় ১৬০ জন রোগী। আইসিইউ-তেই এর মধ্যে ছিলেন প্রায় ৫০ জন। এই অগ্নিকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল হাসপাতালের সামনে সরু রাস্তা এবং যানজট।

এরপরও একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে শহরে। গত বছর কসবার অ্যাক্রোপলিস মল, তার আগে সূর্যসেন লেনের মার্কেট, তারও আগে স্ট্যান্ড রোড এবং শিয়ালদহ মার্কেটেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। শহরবাসীর মতে, প্রতিটি ঘটনার পর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায়ি নিয়ে পদক্ষেপের কথা বলাও হলেও বাস্তবে তা কার্যকরী হয় না কেন? তবে এখন দেখার বড়বাজার অগ্নিকাণ্ডের জল কতদূর গড়ায়! 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।