সংক্ষিপ্ত

শহিদ দিবসের কর্মসূচির জন্য রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কেউ এসেছেন বাঁকুড়া, কেউ আবার এসেছেন সাগরদিঘি থেকে। এবার তাঁদের একাংশের গলাতেই শোনা গেল ক্ষোভের সুর।

লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচনে ‘সবুজ ঝড়ে’র পর এই প্রথম ২১শে জুলাইয়ের মত বড় মাপের সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তাই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। তাদের জন্য ভরপেট খাবারেরও ব্যবস্থা করেছিল দল। কিন্তু আদপে দেখা গেল অন্য চিত্র!

শহিদ দিবসের কর্মসূচির জন্য রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কেউ এসেছেন বাঁকুড়া, কেউ আবার এসেছেন সাগরদিঘি থেকে। এবার তাঁদের একাংশের গলাতেই শোনা গেল ক্ষোভের সুর। একুশে জুলাই মাসে দেদার খাওয়াদাওয়া। ডিম-ভাত থেকে শুরু করে নানান রকম সুস্বাদু পদ থাকে মেনুতে। তবে এবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জোড়াফুল শিবিরের একাধিক কর্মী-সমর্থক।

গোঘাট থেকে আসা একজন তৃণমূল কর্মী বলেন, পাক্কা ৩ ঘণ্টার ওপর লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু তাও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচুর ঠেলাঠেলি হচ্ছে। চূড়ান্ত অব্যবস্থা। আরেকজন তৃণমূল সমর্থক আবার বলেন, যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাঁদের সংখ্যাও বেশ কম। আয়োজনও বেশি হয়নি। সেই জন্য বহু লোক লাইনে দাঁড়ানো সত্ত্বেও খাবার পাচ্ছেন না।

সমর্থকদের কথায়, লাইনে দাঁড়ানোর পরেও দেখা যাচ্ছে খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে, পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার লাইনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। সেই কারণেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে মত তাঁদের। প্রশাসনের কোনও গলদ নেই। তবে খাবারদাবারের আয়োজন নিয়ে কিছু অভিযোগ থাকলেও সেই খাবার খেতে যে বেশ সুস্বাদু তা মেনে নিয়েছেন সকলেই।

মেনুতে রয়েছে গরম ভাত, ডিম ভাজা আর সয়াবিন। খাওয়াদাওয়া শেষ করেই সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা। তবে অভিযোগ, ৩ ঘণ্টারও বেশি লাইন দেওয়া সত্ত্বেও সেই খাবার পাওয়া যায়নি। অনেকে বলছেন, অনেকবার ভাত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও বিষয়টা দেখা হচ্ছে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।