Suvendu on Nabanna Abhiyan: আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের একবছর। রাত দখলের পর আজ ফের নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন নিহত তরুণীর বাবা-মা। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Suvendu on Nabanna Abhiyan: ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৯ অগাস্ট। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষন খুনের একবছর। এই একবছরে নদী দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। আন্দোলন বিক্ষোভ বনাম রাজনৈতিক তরজায় এখনও অধরা তিলোত্তমা খুনের ন্যায় বিচার। ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। যদিও তাতেও ভরসা রাখতে পারছেন না নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার। নিহত চিকিৎসক তরুণীর মা-বাবার ডাকে আজ বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে নবান্ন অভিযান। দলমত নির্বিশেষে অরাজনৈতিক এই আন্দোলনে সকলকে যোগ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার।

জানা গিয়েছে, তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অভয়ার বিচারের দাবিতে আজ রাজপথে নামবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় পতাকা ছাড়াই মিছিলে হাঁটবেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, যেহেতু এই মিছিলটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, তাই বিজেপির তরফে দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে কেউ থাকবেন না। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মিছিলে যোগ দেবেন। ডোরিনা ক্রসিং থেকে অভয়ার মা-বাবার সঙ্গে এই মিছিলে আজ হাঁটবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিলে হাঁটবেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। তবে থাকবে না কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা। কারণ, অভয়ার মা-বাবার তরফে আগেই বলা হয়েছিল এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন। আর সেই কথা মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে নবান্ন অভিযান ঠেকাতে শনিবার সকাল থেকেই শহরজুড়ে চলছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ হাওড়া চত্বর। বসানো হয়েছে দুইজন মানুষ সমান উঁচু লোহার প্রাচীর। ব্যারিকেড। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলকামান। এমনকি মিছিল শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া ব্রিজ ও দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সমস্যায় নিত্য যাত্রীরা। ফলে অফিস টাইমে চূড়ান্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানে সাঁতরাগাছি স্টেশনে ‘ফ্রি সেন্টার’ তৈরীতে বাধা, ক্ষোভপ্রকাশ শুভেন্দু অধিকারীর। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরে শনিবারের নবান্ন অভিযানে আগত মানুষদের জল, প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করার সময় হাওড়া সিটি পুলিশের অধিকারিকরা বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাচক্রে সেই স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে হস্তক্ষেপ করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এটা রেলের জায়গা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এখানে ৪-৫ জন আইপিএস, ২০০ জন পুলিশ এসেছে, দৌড়ে এসেছে বাধা দিতে। এরা কি গুন্ডা হয়ে গিয়েছে? আমি রেলমন্ত্রীর কাছে সতর্কবার্তা দিয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরায় যেসব পুলিশ অফিসার ধরা পড়েছে— রণজিৎ মাহাতো নামে কেউ এসেছিল, এসিপি— তারা আমাকে দেখে পালিয়েছে। আমি এখানে বসে আছি, এখানে পরিষেবা কেন্দ্র হবে।''

তিনি আরও বলেন, ‘’খড়গপুরের ডিআরএম আমাকে বলেছেন, ২১ জুলাই যেদিন এরা ক্যাম্প করেছিল, সেদিন কার অনুমতিতে করেছে। হাজার হাজার লোক আসবে, জল দেবে। চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কোথায় ব্যবস্থা? এখানে অপরাধ হয়েছে। একটা এনজিও থেকে করছে, রাজনৈতিক নয়। আমি পাস নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলাম, এখানে বিশৃঙ্খলা দেখেছি। ছিলেন মণি মোহন ভট্টাচার্য, তিনি বলেছেন সব পুলিশ এখানে চলে এসেছে। আমি এখানে এসে প্রতিবাদ করেছি। আমি ডিআরএম-কে জানিয়েছি, রেল ভবনে অভিযোগ জানিয়েছি। আমি সিসিটিভি দেখেছি, যে পুলিশ এখানে এসেছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।