সংক্ষিপ্ত

যখন তিনি গোঘাট হাইস্কুলে নিযুক্ত হন তখন হাইকোর্টের নির্দেশেই ইন্টারভিউ এর উপস্থিতির কপি জমা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই কিভাবে স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে চাকরি? উঠছে প্রশ্ন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি বাম আমলেই প্রথম অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। এবার মাননীয়ার সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল গোঘাট হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অনিতা মন্ডলের নিয়োগ। তৃণমূল আমলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়। শিক্ষক কেলেঙ্কারির দায়ে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বহুজনা। দুর্নীতির জেরে চাকরিহারাও হয়েছেন অনেকে। আদালতে চলছে একাধিক মামলা। এবার সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য।

জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের রেজুলেশনের বইতে উল্লেখিত হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৯৭ সালে ভূগোল বিষয়ের জন্য সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে নিয়োগ হয়েছেন অনিতা মন্ডল। পরবর্তীতে তিনি গোঘাট হাই স্কুলে ২০০৫ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন। স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগপত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতেই সামনে এল মাথা ঘুরে যাওয়া তথ্য। যখন তিনি গোঘাট হাইস্কুলে নিযুক্ত হন তখন হাইকোর্টের নির্দেশেই ইন্টারভিউ এর উপস্থিতির কপি জমা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই কিভাবে স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা পদে চাকরি? উঠছে প্রশ্ন।

পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণ পাঁজা জানিয়েছেন, ১৯৯৭ সালে যখন অনিতা মণ্ডল তথাকথিত হাইকোর্টের নির্দেশে ইন্টারভিউয়ে বসেন এবং পরিচালন সমিতির প্যানেল অনুযায়ী শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তখনই কোনও উপস্থিতির কপি জমা দিতে পারেননি তিনি।

জানা গিয়েছে, এই সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অনিতা মন্ডলের দাদা স্বপন মন্ডল এক সময় সিপিআইএমের বড় নেতা ছিলেন। তিনি নিজেও অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক। পাশাপাশি তৎকালীন হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদেও স্বপন মন্ডল ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কপি নেই সহ-শিক্ষিকা নিয়োগের এদিকে বিদ্যালয়ের রেজুলেশনে উল্লেখ রয়েছে তার।

অনিতা মন্ডলের ‘অবৈধ’ চাকরির খবর সামনে আসতেই ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। চিরকুটে চাকরির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের দাবি, স্বপন মন্ডল নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই নিজের দুই ছেলে, বোন অনিতা এবং ভাইকে চাকরিতে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছিলেন। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই স্বপন মন্ডল অবশ্য এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।