সংক্ষিপ্ত

সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। শুধুমাত্র যাঁরা সরকারি চাকরি করেন তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

রাজ্যের গৃহবধূরা যাতে স্বনির্ভর হয়ে ওঠেন তার জন্য পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগেই 'লক্ষ্মী ভাণ্ডার'-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের মহিলারা। 

আরও পড়ুন- ভোটের পর প্রথম দিল্লি সফর মুখ্যমন্ত্রী মমতার, ২৮ জুলাই বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে

গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গতবারের সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ফের দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। ১৬ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। সেই শিবিরে খাদ্য সাথী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে। আর সেখানেই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন মহিলারা। 

আরও পড়ুন- রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য বড় উপহার মমতার, বাড়ির পাশেই বদলি পেতে নয়া প্রকল্প 'উৎসশ্রী'

সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। শুধুমাত্র যাঁরা সরকারি চাকরি করেন তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে ১ হাজার। এবং সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে সাহায্য পাবেন। তবে যে যখনই আবেদন করুন না কেন ১ সেপ্টেম্বর থেকেই সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। 

আরও পড়ুন- বাংলার 'নির্বাচনে অত্যাচারিত ৩৫ হাজার মহিলা', কী করে 'দেশ চাইছেন', মমতাকে নিশানার রুপার

এই প্রকল্পে গতি আনতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে জেলা শাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলাশাসকদের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর গতকাল ওই প্রকল্পের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে সেই উপায় জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি মহিলা এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।