সংক্ষিপ্ত
- বিজেপি ছাড়ছেন না শোভন এবং বৈশাখী
- দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক
- দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি দেন শোভন এবং বৈশাখী
শোভন- বৈশাখীর মান ভাঙালেন মুকুল রায়। আপাতত বিজেপি ছাড়ছেন না কলকাতার মেয়র এবং তাঁর বান্ধবীও। দিল্লিতে নিজের বাড়িতে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
গত কয়েকদিন ধরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ছাড়ার জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। দলে সম্মান না পাওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী। দল ছাড়তে চেয়ে তাঁরা বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দেন। বিজেপি-তে যোগদানের দু' সপ্তাহের মধ্যেই শোভন- বৈশাখীর এ হেন সিদ্ধান্তে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে দলীয় নেতৃত্বও।
আরও পড়ুন- অমর্যাদার অভিযোগ, দল ছাড়তে চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি শোভন-বৈশাখীর
আরও পড়ুন- 'পলিটিক্য়াল টুরিজম' করছেন, দেবশ্রী নিয়ে আপত্তিতে অনড় শোভন
শেষ পর্যন্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নির্দেশে শোভন এবং তাঁর বান্ধবীর মান ভাঙাতে আসরে নামেন মুকুল রায়। দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে সোমবার রাতে শোভন- বৈশাখীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় বিজেপি নেতার। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকের পরে অবশেষে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বদলান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুল রায় বলেন, 'আমি অরুণ জেটলির পারলৌকিক কাজে অংশ নিতে দিল্লিতে এসেছিলাম। এসে শুনলাম শোভন এবং বৈশাখী এখানেই রয়েছেন। তাই ওঁদের ডেকে নিয়েছিলাম। একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া হল, অনেক বিষয়ে কথাও হয়েছে। শোভন এবং বৈশাখীর দল ছাড়ার খবর ভিত্তিহীন। সবার মধ্যেই নানা রকম রাগ, অভিমান থাকে। সবকিছু নিয়েই ওঁদের আমি বুঝিয়েছি। ওঁরা দু' জনেই বিজেপি-তে ছিলেন এবং আছেন। এর পরে ভবিষ্যতের কথা তো ভবিষ্যৎ বলবে।'
আর বৈঠক নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দিল্লিতে একই সময়ে আমরা এবং মুকুলদা থাকলে উনি ডেকে নেন। সংবাদমাধ্যমে এই কদিন দল ছাড়া নিয়ে অনেক খবর ছড়াচ্ছিল। আজ সব বিষয়েই কথা হল, খাওয়াদাওয়াও হয়েছে।'