সংক্ষিপ্ত

ডোমজুড় থানার অন্তর্গত নিবড়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় বছর খানেক ধরে ব্যবসা করছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আরশাদ খান আশরাফী।

এই রাজ্যে যে তোলাবাজির ঘটনা অব্যহত রয়েছে তা আরও এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাও়ড়ার ডোমজুড় (Howrah, Domjur)। তোলাবাজির পাঁচ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় অভিযোগে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর (businessman) অফিসে ভাঙচুর এবং ৮০ হাজার টাকা লুটপাট করা হয়া। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের নিবড়া এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। ওই আতঙ্কিত ব্যবসায়ী ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন তোলাবাজি বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার অথবা তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি পুলিশ (police) কমিশনারকে সমাজবিরোধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেবেন।

ডোমজুড় থানার অন্তর্গত নিবড়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় বছর খানেক ধরে ব্যবসা করছেন পরিবহন ব্যবসায়ী আরশাদ খান আশরাফী। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ দিন কয়েক আগে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে কয়েক জন দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় আসেন। তারা সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি ভেঙে দেয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অফিস থেকে ৮০ হাজার টাকা লুটও করে। ওই ব্যবসায়ীকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী ডোমজুড় থানা লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু তার অভিযোগ পুলিশের কাছে অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। 

Meghalaya TMC: মেঘালয়ার তৃণমূল নেতাদের শুভেচ্ছা মমতার, দলের সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ

Crime News: প্রেমের পথ মসৃণ করতে ছাত্রকে রিভালবার দিয়ে পোটাল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্ক স্কুলে

Businessman Murder: ঋণ শোধ করতে বলায় শোরুম মালিককে খুন, কাঠগড়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ নভেম্বর। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেদিন আরশাদ খান আশরাফীর দোকানের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়েছিল। তাদের হাতে পিস্তল ছিল বলেও অভিযোগ। সেই ছবি রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলার পরেই সেই দুষ্কৃতীর দলটি দোকানের ভিরতে ঢুকে যায়। তারপরই ব্যবসায়ীকে মারধর করে সিসিটিভির ক্যামেরা ভেঙে দোকানে লুঠপাট চালায়। এই ঘটনার স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। 

আতঙ্কে ওই ব্যবসায়ী অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন সেই রাত্তিরে বেশ কয়েকজন যুবক সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। তারাও আতঙ্কে রয়েছেন। রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন কোনমতেই দুষ্কৃতীদের তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। তিনি নিজে হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দেবেন যাতে অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা হয়।