সংক্ষিপ্ত

করোনা যোদ্ধা আশাকর্মী মণিকাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর  সাজার দাবিতে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন। আশা কর্মী মণিকা বোসকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে তাঁর সৎ ছেলে ও বৌমা । 

করোনা যোদ্ধা আশাকর্মী মণিকাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর  সাজার দাবিতে সরব হল পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন। মারধোরের পর মুখে বিষাক্ত কিছু ঢেলে দিয়ে আশা কর্মী মণিকা বোসকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে তাঁর সৎ ছেলে ও বৌমা । এই দুই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে সকল আশা কর্মীরা।

আরও পড়ুন, Crime: পুলিশের জালে এবার ভুয়ো 'নাসা'-র এজেন্ট, গ্রেফতার এয়ারপোর্টের বাসিন্দা মধুমিতা সাহা
নিহত মণিকা বোসের ছবি দেওয়া ফ্লেক্স হাতে নিয়ে এদিন র‍্যালি করে জামালপুর ব্লক হাসপাতাল থেকে জামালপুর থানায় পৌছান কয়েক শো আশা কর্মী । সেখানে দাঁড়িয়েই শ্লোগান তুলে তাঁরা মণিকা কে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি জানান। পরে দাবির বিষয়টি নিয়ে আশা কর্মীরা থানায় স্মারকলিপিও জমা দেন । মৃত আশা কর্মীর বাবা কাশীনাথ নন্দীও এদিন থানা চত্ত্বরে হাজির থেকে চোখের জল মুছতে মুছতেই তাঁর মেয়ের খুনিরদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন ।পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পূর্ব বর্ধমান জেলা ইনচার্য ঝর্ণা পাল জানিয়েছেন,তাঁদের সহকর্মী বছর ৪৫ বয়সী মণিকা বোস জামালপুর ব্লক হাসপাতাল অধীনে কাজ করতেন।প্রকৃত অর্থেই মণিকা ছিলেন একজন  করোনা যোদ্ধা । জামালপুর থানা সংলগ্ন কালাড়াঘাট  গ্রামে তাঁর স্বামীর বাড়ি। বাবার বাড়ি কালাড়াঘাটের অনতিদূরে জামালপুরের হাওয়াখানা পাড় এলাকায়। ঝর্না পাল বলেন ,কালাড়াঘাট নিবাসী দিলীপ বোষের স্ত্রী তাঁর পুত্রসন্তান সুভাষকে জন্ম দেওয়ার কয়েক বছর পর মারা যান। এরপর সংসার সামলানো ও নাবালক সন্তান সুভাষকে প্রতিপালনের জন্য ব্যবসায়ী দিলীপ বোস পুনর্বিবাহের মনস্থির করেন। 

আরও পড়ুন, Durga Puja: রাখিবন্ধনের দিনেই খুঁটিপুজো, ৮৩ তম দুর্গোৎসবের শুভারম্ভ বাদামতলা আষাঢ় সংঘের

বছর ১৬ আগে দিলীপ বোসের সঙ্গে  মণিকার সঙ্গে বিয়ে হয়  । মণিকা নিজে নিঃসন্তান থেকে গিয়ে সুভাষকে পুত্র স্নেহে বড় করে তেলেন । বছর ১০-১১ আগে দিলীপ বোস মারা যান। তারপরেও সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। মণিকার সংসারে অশান্তি শুরু তাঁর সৎ ছেলে সুভাষ ছয় মাস আগে  মণিকার মতামতকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের ইচ্ছায় বর্ধমানের বড়শুলের তরুণী আল্পনাকে বিয়ে করার পর থেকে।মণিকা এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই সোমবার মারধোরের পর মুখে বিষাক্ত কিছু ঢেলে দিয়ে করোনা যোদ্ধা মণিকাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁরই সৎ ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে ।এই ঘটনা নিয়ে  মণিকার বাবা কাশীনাথ নন্দী জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে মণিকার সৎ ছেলে সুভাষ বোস ও তার স্ত্রী আল্পনা বোসকে গ্রেপ্তার করে ।আদালতের নির্দেশে তারা এখন  জামালপুর থানার পুলিশি হেপাজতে রয়েছে । 

আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে NRC দরকার, নইলে বাংলাটা, বাংলাদেশ-২ হবে', শুভেন্দুর সুরে এবার তথাগতও

এদিন থানায় স্মারকলিপি প্রদান করে সকল আশা কর্মীরা মণিকাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ ছেলে সুভাষ ও বৌমা আল্পনার দৃষ্টান্ত মূলক সাজার ব্যবস্থা করার দাবি এদিন পুলিশকে জানান । একই দাবি থানার পুলিশ কর্তাদের কাছে রাখেন আশা কর্মী মণিকার বাবা কাশীনাথ নন্দীও ।থানায় হাজির হওয়া  আশা কর্মী শম্পা দাস, মিতা বিশ্বাস প্রমুখরা বলেন , ’তাঁদের সহকর্মী মণিকাকে এই ভাবে খুন হতে হবে তা তাঁরা কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি ।তাই তাঁরা চান মণিকাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর সাজা’। যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে আশা কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা ।

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

YouTube video player