সংক্ষিপ্ত
‘অধিকারী গড়’ হিসেবে খ্যাত তমলুকে গেরুয়া শিবিরকে জয় এনে দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে তার নাম ছিল সর্বাধিক চর্চায়। প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্যকে হারিয়ে শুভেন্দুর জমিতে ফের জয় পেয়েছে বিজেপি।
তৃণমূলের ‘ছোকরা’ দেবাংশুকে হারিয়ে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৭৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই বিচারপতির পদ ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখান অভিজিৎ। সপ্তম দফা ভোটে নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তমলুক। বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপি, ভোট লুঠ সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেসব ধোঁপে টেঁকেনি।
‘অধিকারী গড়’ হিসেবে খ্যাত তমলুকে গেরুয়া শিবিরকে জয় এনে দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে তার নাম ছিল সর্বাধিক চর্চায়। প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্যকে হারিয়ে শুভেন্দুর জমিতে ফের জয় পেয়েছে বিজেপি। এবার সেখানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জেতার দৌলতে শুরু হল বিজেপি ম্যাজিক।
বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর এবার পদত্যাগ করলেন নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি রবীন জানা। পদত্যাগ করে রবীনবাবু বলেন, আগামী দিনে দলকে ঝাড়াই বাছাই করা হোক এটাই চাই। ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির পদত্যাগের কারণে অস্বস্তিতে শাসকদল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে, পদত্যাগ করতে হলে অন্য নেতাদের পদত্যাগ করা উচিৎ। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে আসরে নেমেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, অনেক তৃণমূল নেতাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, এরপর কী হয় দেখতে থাকুক রাজ্যবাসী।
বিজেপি সূত্রের খবর আর দুই বছর পরে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনের সারিতে এনে লড়াই করতে পারে বিজেপি। কারণ বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর একাধিক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তিনি রীতিমত সরব ছিলেন। একাধিকবার তাঁর মন্তব্যে অস্তস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সেই অভিজিৎ এবার তমলুকে তৃণমূলের মাটি হারা হওয়ার কাজে নেমে পড়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।