সংক্ষিপ্ত
ছোটনের দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে আসে। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয় দেব। তারপরই আচমকা ছোটন বসে।
আজবকাণ্ড বর্ধমানের ভাতারে। এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই গোটা ঘটনা ঘটে। দেহ ঘিরে যখন পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছিল, তখন আচমকা সেই ব্যক্তি উঠে বসে। তারপর জল চেয়ে জল পান করে। পরিবারের সদস্যরা যখন আশায় বুক বাঁধছেন তখনই সব শেষ! মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির।
তবে বর্ধমানের ভাতারের বাউড়িপাড়ার বাসিন্দা ছোটন সর্দারের মৃ্ত্যু নিয়ে হাসপাতাল ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে টানাপোড়ান শুরু হয়েছে। কারণ ৩৫ বছরের ছোটন সর্দারকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তের দেহ পাঠানোর কথা বলে। তখনই পরিবারের সদস্যরা ছোটনের দেহ নিয়ে চম্পট দেয়।
ছোটনের দেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে আসে। শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয় দেব। তারপরই আচমকা ছোটন বসে। পরিবারের সদস্যের থেকে জল চেয়ে খায়। তাকপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যদিও পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই ঘটনা নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ হাসপাতাল গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণেই বেঘরে মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ছোটনের এক আত্মীয় জানিয়েছে, হাসপাতালের চিকিৎসরা ছোটনকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শুধুমাত্র দুটি ট্যাবলেট খেতে দেয়। আর দুটি ইনজেকশন দেয়। তারপরই বাড়িয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। রাস্তাতেই হেঁচকি ওঠে। তারপর জল দেওয়া হয়। আবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন সব অভিযোগ মিথ্যা। মৃত্যুর পরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।