খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে এক বিষ্ণুমূর্তি। মূর্তিটি প্রায় তিন ফুট লম্বা। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর কানে পৌঁছাতেই উৎসাহিত হয়ে তখন মূর্তি দেখতে সেখানে জড়ো হন গ্রামের মানুষজন। দেখতে দেখতে ভিড় জমে যায় পুকুর চত্বরে
পুকুর থেকে উঠে এল বিষ্ণুমূর্তি। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমতে থাকে। ভক্তরা মুর্তিটিকে নিয়ে পুজো করতে শুরু করে দেন। পুলিশ এসে নিয়ে যায় প্রাচীন মুর্তিটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার পদ্মপুকুর সংস্কারের কাজ চলছিল। এরজন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল । এই কাজের জন্য উপস্থিত ছিলেন অনেক শ্রমিক । সেই সময় কাজ করতে গিয়ে এক শ্রমিকের কোদাল শক্ত কিছুতে আটকে যায়। তারপর ওই জায়গায় আরও বেশি করে মাটি খোঁড়ার কাজ করতে থাকেন শ্রমিকরা।
জানা যায়, ওই অংশে শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই সেখানে থেকে উঠে আসে পাথরের অংশ। আশ্চর্য হয়ে যান উপস্থিত শ্রমিকরা। এরপর ওই জায়গায় সন্তর্পনে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই বেরিয়ে আসে এক বিষ্ণুমূর্তি। মূর্তিটি প্রায় তিন ফুট লম্বা। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর কানে পৌঁছাতেই উৎসাহিত হয়ে তখন মূর্তি দেখতে সেখানে জড়ো হন গ্রামের মানুষজন। দেখতে দেখতে ভিড় জমে যায় পুকুর চত্বরে, তারা ওই মর্তি দেখে ভক্তিভরে প্রণাম করলেন। এরপর গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন তারা বিষ্ণুমুর্তির পুজো করবেন। অনেকই সহমত জানিয়ে মূর্তিটি ভালো করে পরিষ্কার করে পুজো শুরু করেন গ্রামবাসীরা। সেখানে মূর্তি দেখতে ছুটে আসেন আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ। এই খবর পৌঁছে যায় মেমারি থানার সাতগাছিয়া ফাঁড়ির পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ এসে মুর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলেই জানা যায়। বর্তমানে মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণ করতে গবেষণা শুরু করছেন।
পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তিটি গ্রাম থেকে মিলেছে তাই সেটি অবিলম্বে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা মুর্তির পুজো করবেন। তবে পুলিশ গ্রামবাসীদের এই দাবিকে আমল দেয় নি। এই মূর্তির ঐতিহাসিক জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর ক্ষোভ জন্মেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
