Nandakumar News: পুজো প্যাণ্ডেলে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক। পাল্টা কটাক্ষ শুভেন্দুর। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Nandakumar News: পুজোয় সরকারি অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলোকে মণ্ডপে রাখতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। নাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে অনুদান! নন্দকুমারের বিধায়কের বক্তব্যে চাঞ্চল্য। এই টাকা জনগণের করের টাকা, নন্দকুমারের বিধায়কের পৈতৃক সম্পত্তি নয় পাল্টা কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
বৃহস্পতিবার নন্দকুমার বিডিও অফিস সংলগ্ন একটি হল ঘরে নন্দকুমার থানা এলাকার ৬৬ টি পুজো কমিটিকে নিয়ে সরকারি অনুদান বিলির অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক সুকুমার দে কয়েকটি ক্লাবকে বার্তা দিয়ে বলেন যে, ‘’সরকারিভাবে প্রাপ্ত অনুদান পাওয়ার পরেও অনেক পুজোর মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হচ্ছেনা।'' এবং তিনি নিজে তার বিধানসভার অনুদানপ্রাপ্ত ক্লাবগুলোর মণ্ডপগুলো ডাইরি নিয়ে ঘুরে দেখবেন। যদি কোনও মণ্ডপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি না থাকে তবে আগামী বছরে অনুদান আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ঠিক কী বলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক?
নন্দকুমারের বিধায়কের এই ধমক দেওয়া ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী ওই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন যে, ‘’মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলির সরকারি অনুদান দিচ্ছেন — এই টাকা রাজ্যের জনগণের করের টাকা। কিন্তু নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে যেভাবে ধমকাচ্ছেন মনে হচ্ছে অনুদানের টাকা যেন তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি।''
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ কী?
শুক্রবার বিকেলে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদেরও এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘’সরকার টাকা ধার করছে এবং ক্লাবগুলিকে দিচ্ছে — এটা কারও বাবার টাকা নয়। তিনি আরও বলেন, লোকসভা ভোটে নন্দকুমারে বিজেপির লিড আছে। এবারে ভোটে দাঁড়ালে আমরা ২৫ হাজার ভোটে হারাবো ওকে। উনি নিজেই ওখানে প্রাক্তন হবে।''
অন্যদিকে, বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, ‘’মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দেওয়ায় অনেকেই আদালতের মাধ্যমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু ক্লাব মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়নি বা সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি তুলে ধরেনি—কেন্দ্রের কোন প্রকল্প থাকলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে, অন্য রাজ্যের প্রকল্পে তাদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকে; তাহলে আমাদের রাজ্যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন থাকবে না? এটাই আমি বলতে চেয়েছিলাম।''
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


