- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ভোটের আগেই বাংলায় CAA? বিজেপি নাগরিক সচেতনা আইন প্রচারে ১৭টি ক্যাম্প খুলছে
ভোটের আগেই বাংলায় CAA? বিজেপি নাগরিক সচেতনা আইন প্রচারে ১৭টি ক্যাম্প খুলছে
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই পরিস্থিতি গোটা বাংলাতেই ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন নিয়ে সরগরম। SIR হবে কিনা, হলে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে - তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তারই মধ্যে CAA নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল বিজেপি।

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। আগামী বছরের মার্চ এপ্রিল মাসেই ভোট হতে পারে। এই পরিস্থিতি গোটা বাংলাতেই ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধন নিয়ে সরগরম। SIR হবে কিনা, হলে কবে থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে - তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই বিজেপি আবারও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সরব হয়েছে।
নাগরিক সংশোধন আইন
গোটা দেশেই কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা CAA। কিন্তু এই আইন সম্পর্কে দেশের মানুষের সাম্য়ক ধারনা নেই। কেন আবেদন করতে হবে? কীভাবে আবেদন করতে হবে? তা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্ত। ভোটের আগেই এই বিষয়গুলি নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। বুধবার বিজেপির পক্ষ থেকে সিএএ নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
১৭টি ক্যাম্প
দলীয় সূত্রের খবর বুধবার বিজেপির কর্মশালা চলেছিল প্রায় সাড় চার ঘণ্টা। সেখানেই স্থির হয়েছে ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা শিবির খোলা হবে। মতুয়া ও উদ্বাস্তু অধ্যুষিত জেলা বিশেষ করে বনগাঁ ও নদিয়াকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে। দুই জেলার বিধায়করাও এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্ট জমা ৩১ অক্টোবর
বিজেপি সূত্রের খবর প্রত্যেকটি বিধানসভার অধীন এলাকায় ৩টি করে সিএএ ক্যাম্প বা শিবির খুলতে হবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বকে জমা দিতে হবে। কাদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে তার নামও চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। নাগরিক সংশোধনী আইন নিয়ে মানুষকে সচেতন করাই এই ক্যাম্পের অন্যতম লক্ষ্য।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা
রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ ভাগের সময় কংগ্রেস যে পাপ করেছে, বিজেপি সেই পাপমুক্তির কাজ করছে। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পাশে আছি। এটাই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। আমরা ক্যাম্প করব, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তাও দেব। বিজেপি যতদিন থাকবে, একজন উদ্বাস্তু হিন্দুকেও কেউ ছুঁতে পারবে না।”

