সংক্ষিপ্ত
এবার আবার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের একবার গণছুটির ডাক দিল আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হবে গণ ই-মেইলও।
বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে জোড়ালো হচ্ছে আন্দোলন। আর্থিক বর্ষের শেষে এসে নতুন করে ডিএ দাবিতে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে যৌথমঞ্চ। আগামী ২৬ মার্চ থেকেই নতুন কর্মসূচি আন্দোলনকারীদের। আগামী ২৬ মার্চ বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে গণ ই-মেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্মচারিরা। আগামী ৩০ মার্চ রাজ্য জুড়ে গণছুটি নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে তাঁরা। উল্লেখ্য গত ১০ মার্চও রাজ্য জুড়ে কর্মবিরোতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এবার আবার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের একবার গণছুটির ডাক দিল আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হবে গণ ই-মেইলও।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে সরব সরকারি কর্মীরা। শহিদ মিনারের নীচে চলছে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি। গত শনিবারই শনিবার ৫১ দিনে পড়ল ডিএ ধর্নামঞ্চের অবস্থান। ৩৭ দিনে পড়ল অনশন-আন্দোলন। শনিবার অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয় পড়লেন আরও এক অনশনকারী। বকেয়া ডিএ ও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে আজ ৫১ দিন ধরে শহীদ মিনারের নীচে চলছে অবস্থান আন্দোলন। চলছে অনশনও। শনিবার ধর্নামঞ্চেই অসুস্থ হয় পড়লেন সমরেন্দ্রনাথ রায় নামের এক অনশনকারী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শনিবার দিনভর শহিদ মিনারের নীচে অনশনে বসলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে চলে গণ অনশন কর্মসূচি। পাশাপাশি আজ থেকেই ডিজিটাল স্ট্রাইকও ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের বাইরে ব্যক্তিগত মোবাইল বা ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করবেন না তাঁরা। এই ডিজিটাল স্ট্রাইকের কথা অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
পঞ্চমবারেও পিছিয়ে গেল শুনানি। মঙ্গলবারেও ডিএ মামলায় রায় দিল না সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ১৫ মার্চ ডিএ মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনও পিছিয়ে যায় রায়দান। আজ ২১ মার্চ ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে ডিএ মামলায় আগামী শুনানি হবে এপ্রিলে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনাই হয়নি। পরপর চার বার শুনানি পিছিয়ে অবশেষে ২১ মার্চ মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারও হল না শুনানি। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১১ এপ্রিল হবে এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন -
তিহার-বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের সামনে আশার আলো দিল্লি হাইকোর্ট, আজ সেখানেই জামিন মামলার শুনানি
ধর্মঘটের দিন কাজে অনুপস্থিত কেন? কারণ জানতে চেয়ে কড়া নোটিশ ৩০০ জন শিক্ষককে