Digha Jagannath Temple Kunal Ghosh: দীঘাতে জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে আমিষ-নিরামিষ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার এই বিষয়ে আসরে নামলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

Digha Jagannath Temple Kunal Ghosh: বিতর্কের শুরু হটাৎ করেই। দীঘায় (Digha) জগন্নাথ ধাম উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কি সেখানে আমিষ খাবারদাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে অনেকের মনে। আর সেই প্রশ্ন ওঠার একটা বড় কারণ হল, সিপিএমের (CPM) মুখপত্রে সেই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরছে সেই প্রতিবেদন। এমনকি, সেখানে আবার উল্লেখ করা হয় যে, মন্দির উদ্বোধনের জন্য নাকি দু-দিন আমিষ বন্ধ। যদিও তার সত্যতা যাচাই এশিয়ানেট নিউজ বাংলা করেনি।

এদিকে এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই চারিদিকে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। কারণ, অনেকেই ঘুরতে যান দীঘাতে। বহু মানুষ ছুটি কাটাতেও যান। এবার তারা কী খাবেন, সেটা তো তাদের নিজেদের পছন্দের বিষয়। তাই এই ধরনের প্রতিবেদন পড়ে তারা রীতিমতো শঙ্কিত। অনেকে তীব্র নিন্দাও করেছেন। কারণ, তাদের অনেকেই বলছেন, তারা তো দিব্যি আমিষ খাচ্ছেন, কোনও সমস্যা নেই। স্বাভাবিকভাবেই, পর্যটকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।

আর এবার এই প্রসঙ্গেই, বামেদের জবাব দিতে আসরে নামলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বুধবার দুপুরে তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি মধ্যাহ্নভোজ করতে বসেছেন। তাঁর থালায় রয়েছে ভাত, ডাল, আলুভাজা এবং একটি পমফ্রেট মাছ। সম্ভবতম উচ্ছে ভাজাও ছিল। আর সেই পোস্টেই তিনি সিপিএম এবং তাদের মুখপত্রকে আক্রমণ করে একটি লেখা লেখেন।

তাঁর কথায়, “সিপিএম ও গণশক্তির জন্য: বুধবার, এখন দীঘাতে লাঞ্চ। পমফ্রেট মাছসহ। আপনাদের কুৎসা: এখানে আমিষ বন্ধ ও মুসলমানদের বেরনো নিষিদ্ধ, মানুষ হাসছেন। কোনো কোনো সমিতি ও সংস্থা আবেদন করেছেন জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন বলে নিরামিষ খান। এটা স্বাভাবিক। অনেকেই নিরামিষ খাচ্ছেন। কিন্তু, যাঁরা আমিষ খেতে চাইছেন, তাঁদের জন্য কোনো বাধা নেই। কেউ কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আর হ্যাঁ, হিন্দু, মুসলমান, খৃস্টানসহ দীঘা পর্যটনে, রাস্তায়, সাগরতটে সবাই রয়েছেন। খেজুরির যুবনেতা জালালের সঙ্গে আমিই তো রাতে রাস্তায় আড্ডা মারলাম, চা খেলাম। আরও পরিচিত মুসলমান রয়েছেন। কারা বলছে দীঘায় মুসলমানদের বেরনো বারণ? সিপিএম এখন হতাশার বিষ ছড়াতে মরিয়া। ছবি তুলে দিলেন জয়ন্ত ঘোষাল দাদা।”

তার ঠিক কিছুক্ষণ পর আবার একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখেন, “আমি হিন্দু। আমি সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী। আমি ঈশ্বর মানি, বিশ্বাস করি সর্বশক্তিমানকে, সাধনা ও পরিশ্রমের পাশে থাকেন তিনি। আমি পুজোয় থাকি। আমি একটি প্রাচীন মঠ ও মিশনের সহসভাপতি। আমি অন্য ধর্মের আচার ও উৎসবকে সম্মান করি। আমি খাদ্যরসিক। আমি নিরামিষাসী নই। আমি আমিষ ভালোবাসি। এবং বাংলায় এই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাটা আছে।”

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।