BJP Tiranga Yatra News: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে বিজেপির এবার দেশজুড়ে তেরঙ্গা অভিযান। ভোটের ময়দানে নতুন কোন চাল বঙ্গ বিজেপির? জানুন বিস্তারিত…
BJP Tiranga Yatra News: বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের নির্বাচন। তার আগে এবার ময়দানে বঙ্গ বিজেপির নতুন নীতি। শহরজুড়ে জারি তেরাঙ্গা যাত্রা। তবে কী যুদ্ধ থেকে দেশাত্মবোধ ও হিন্দুত্বের ফয়দা তুলতে চাইছে বিজেপি? কলকাতায় বিজেপির তেরাঙ্গা যাত্রা নিয়ে সার্কুলার জারি দলের। জানা গিয়েছে, শুধু শহর কলকাতা নয়, রাজ্যের প্রতিটি জেলা ও ব্লকে ১৭-২৩ মে পর্যন্ত এই মিছিল হবে। গত নির্বাচনগুলিতে সেভাবে ভালো ফল করতে পারিনি গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত নির্বাচনগুলি থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আগেভাগে ময়দানে নামতে চাইছে বিজেপি (BJP Bengal)।
সূত্রের খবর, দলের তরফে জারি করা ওই সার্কুলারে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, মিছিলে বিজেপির কোনও প্রতীক বা পতাকা থাকবে না। এর পরিবর্তে থাকবে লম্বা জাতীয় পতাকা, দেশাত্মবোধক গান, সেনা-অভিযানের প্রতীক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। স্লোগান থাকবে, "আমরা অপারেশন সিঁদুর-এর সঙ্গে"। এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন প্রাক্তন সেনা ও তাঁদের পরিবার, কলেজ-স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং হিন্দু ধর্মীয় সাধু-সন্তরাও। এই বহুমাত্রিক উপস্থাপন একটি বিস্তৃত সামাজিক আবেগকে স্পর্শ করতে চাইছে, তা বলাই বাহুল্য। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলও।
জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আবার, এটি নিছক দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক বার্তা। বিজেপি অতীতে বারবার দেশাত্মবোধকে তাদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে—বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক হোক বা সার্জিকাল স্ট্রাইক। এবারেও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবেগকে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা ও মোদী সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরতে চাইছে।
অন্যদিকে যদিও তেরঙ্গা যাত্রাতে দলীয় প্রতীক বাদ রাখা হয়েছে, তবুও সাধু-সন্তদের মিছিলে টেনে আনা একটি স্পষ্ট হিন্দুত্ববাদী বার্তা বহন করে। বিজেপির দীর্ঘদিনের আদর্শ, 'হিন্দু জাতীয়তাবাদ' এই ধরনের অভিযানে লুকিয়ে থাকা থাকে। এতে 'দেশপ্রেম' ও 'ধর্মীয় আবেগ' একসঙ্গে মিশে গিয়ে একটি শক্তিশালী জনমত গঠনের চেষ্টা চলছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুধু তাই নয়, বিজেপির এই তেরঙ্গা যাত্রা একদিকে যেমন জাতীয়তাবাদ, অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদ দুটিকেই কৌশলে ব্যবহার করছে বলে ধারণা। যুদ্ধ ও সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আবেগকে হাতিয়ার করে একটি সুশৃঙ্খল অরাজনৈতিক আবরণে মোড়া রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে দল। অন্যদিকে ভোটের আগের মুহূর্তে এই প্রচার ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে, তা অবশ্য সময় বলবে। তবে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে এর প্রভাব অস্বীকার করা যাচ্ছে না। এমনটাই অবশ্য মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও এখন দেখার বিজেপির এই কৌশল আদেও কতটা ফলপ্রসূ হয়! ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভোটবাক্সে এর প্রভাব কতটা পড়ে। উত্তর দেবে ঘড়ির কাঁটা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


