Burdwan News: দিনেদুপুরে কাস্টমস অফিসার সেজে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালালো দুস্কৃতীরা। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Burdwan News: ব্যস্ততম শহরের রাস্তার উপর নিজেকে কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ আট লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের সিংদড়জা হাতিবাগান মোড়ে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বড়শুল এলাকার বাসিন্দা তাপস দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ী জানান, মেয়ের বিয়ের জন্য গয়না তৈরির সোনা কেনার উদ্দেশ্যে জমি বিক্রির টাকা দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্ক থেকে তোলা হয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে এদিন বিকেলে শহরের সিংদড়জা এলাকায় নিজের দোকানে ঢোকার সময় হঠাৎই দুই যুবক তাঁর পথ আটকে কাস্টমস অফিসার পরিচয় দেয় এবং ব্যাগ সার্চ করার নাম করে ব্যাগের চেন খুলে তার ভেতর থাকা নগদ আট লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই দুই যুবক হিন্দিভাষী ছিল এবং একটি কালো রঙের বাইকে চেপে রাজবাড়ীর দিকের রাস্তায় সোজা চলে যায়। দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজনের পরনে সাদা জামা ছিল, মাথায় ছিল টুপি এবং ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল। প্রত্যক্ষদর্শী আলো সেখ জানান, পাশের দোকান থেকে চা খেয়ে হাতে বিড়ি ও দেশলাই নিয়ে ফেরার সময় এক স্বাস্থ্যবান যুবক তাঁকে জড়িয়ে ধরে বিড়ি চায়। এরপর পাশে থাকা দুই যুবক কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে এক সাইকেল আরোহীকে রাস্তা ছেড়ে যেতে বলেন। কিছু বোঝার আগেই ওই যুবকেরা বাইকে উঠে চম্পট দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান সদর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। পূর্ব বর্ধমান স্বর্ণকার সমিতির সহ-সভাপতি জগন্নাথ দেব বলেন, ‘’বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমাদের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য সোনা কেনার টাকা নিয়ে আসছিলেন। সেই সময় দুই যুবক কাস্টমস পরিচয় দিয়ে ব্যাগ সার্চ করার নাম করে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।''
অন্যদিকে, পুলিশ তদন্তে ভরসা রাখতে পারছেন না পরিবার। কেন ২২ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কি করছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা প্রকাশ নাবালকের মায়ের। আমার ছেলে কে খুঁজে দিন, বলতে চান মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানাচ্ছে পরিবার। থানা। এটা পরিকল্পিত ভাবে ঘটানো হয়েছে। আমি গরীব বলে কি বিচার পাবো না? প্রশ্ন মায়ের। কাকা অভিযোগ কোনো বিধায়ক সংসদের সাহায্য পাইনি। আমার ছুটে এসেছি কলকাতায়। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরব না।
আমার ছেলের খবর দিন মমতা দি। আরজি মায়ের। তার মা জানান, মেয়ের দিয়ে আমার অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিল। আমার কষ্ট দেখে মাসে ১০ হাজার টাকার বেতনে শাহেনশা সঙ্গে কাজে আসে। বাড়ি যাওয়ার আগে টাকা চেয়েছিল। সেই টাকা না দিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। থানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা। কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। টা দেখে পুলিশ বাইরে বেরিয়ে আসে। নিয়ে যায় থানায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


