জীবিত সরকারী কর্মী দাদার ফর্ম না আসায় চিন্তায় পড়েছে ভৌমিক পরিবারের সদস্যরা। এককথায় দিশেহারা মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের কচু পুকুর ২২৮ নম্বর বুথের এই পরিবারের সদস্যরা। 

একেই বলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে। মৃত্যু হয়েছে ছোট ভাইয়ের আর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলো দাদার। ফলে সরকারী কর্মচারী দাদা পড়েছে চরম বিপাকে। বাড়ি বয়ে বিএলও দিয়ে SIR-এর এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে গেছে মৃত ছোট ভাইয়ের নামে। এবার কী করবে জীবীত বড়ভাই। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মামলার ভৌমিক বাড়িতে।

জীবিত সরকারী কর্মী দাদার ফর্ম না আসায় চিন্তায় পড়েছে ভৌমিক পরিবারের সদস্যরা। এককথায় দিশেহারা মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের কচু পুকুর ২২৮ নম্বর বুথের এই পরিবারের সদস্যরা।

মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুল চণ্ডী অঞ্চলের কচু পুকুরের ২২৮ নম্বর বুথের বাসিন্দা সৌমিক ভৌমিক, ৩৯ বছর বয়সী সৌমিক কেন্দ্রীয় সংস্থার বীমা দপ্তরে কর্মরত। তিনি বসবাস করেন বুলবুল চণ্ডীর কচু পুকুর এলাকায়। বাড়িতে সৌমিক ছাড়াও বর্তমানে বসবাস করে তার বাবা, মা ও স্ত্রী। তাঁর আরও এক ভাই ছিল স্বস্তিক ভৌমিক।

গত ২০২০ সালে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় স্বস্তিকের। এরপর বাড়ি থেকে বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড সব বাতিল হয়ে যায় যথারীতি। কিন্তু বারবার জানানো সত্ত্বেও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যায়নি স্বস্তিকের। উল্টে দেখা যায় ০৬- ০১ - ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত ভোটার লিস্টে জীবিত দাদা সৌমিককে মৃত দেখানো হয়েছে। আর মৃত ভাই স্বস্তীককে জীবিত দেখানো হয়েছে। কিন্তু ১২-১১-২৪ তারিখে প্রকাশিত ভোটার লিস্টে দেখা যাচ্ছে দুই ভাই জীবিত। পাশাপাশি যখন ভৌমিক পরিবারের কাছে SIR ফর্ম আসলো তখন দেখা গেল মৃত ছেলের ফর্ম এসেছে কিন্তু জীবিত ছেলে সৌমিকের ফর্ম নেই। আর এরপর থেকেই ঘুম উড়েছে পুরো পরিবারের।

সব মিলিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়ছেন সৌমিক। তিনি সরকারি কর্মী। তাই নাম তুলতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তার কাছে প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে। কিন্তু রীতিমত হেনস্থা হতে হবে বলেও মনে করছে সৌভিক।