বর্ষা নামতেই বাঁধে ধ্বস আতঙ্ক। ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কোথায় বাঁধের এই দশা? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

West Bengal News: বর্ষার মরশুম শুরু হতে না হতেই একাধিক নদী বাঁধে ধসের আতঙ্ক। এবার উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ইছামতি নদীর বাঁধে ধস। আতঙ্কে এলাকার মানুষ। দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের দাবি গ্রামবাসীদের। হাসনাবাদের বরুনহাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকার ইচ্ছামতী নদীর ঘটনা। এখানে ইছামতি নদীর একদিকে ভারত অন্যদিকে বাংলাদেশ।

সেখানেই ইছামতি নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। ধস নেমে বাঁধ আর এক থেকে দেড় ফুট বেঁচে আছে। বড় জোয়ারের জলের ধাক্কায় যখন তখন পুরো বাঁধটাই ভেঙে জলে তলিয়ে যেত পারে । আর এই নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার জলমগ্ন হবে। ক্ষতি হবে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের, অন্যদিকে চাষের জমি এবং মাছের ভেড়ির ।

 এলাকার মানুষজন চাইছেন, অবিলম্বে এই বাঁধ মেরামত করুক সরকার। এই বিষয়ে বরুনহাট রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান- আবুল কালাম বলেন, ‘’নদীর বাঁধে দুই জায়গায় ধস নেমেছে। আমরা ইরিগেশন দফতরকে জানিয়েছিলাম। ইরিগেশন দফতর খুব দ্রুত ওই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করবে।'' 

এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক-এর উদ্যোগে নদীর পার বাঁধানো হলেও বর্তমানে নদীপারে বিরাট ভাঙ্গন, ভাগীরথীর জল গ্রাস করবে গোটা এলাকাকে, কাজে গাফিলতি তাই এই ঘটনা অভিযোগ এলাকাবাসীর, আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীপারের বাসিন্দাদের। দ্রুত সমাধান হবে দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের। কাজে গাফিলতি অভিযোগ তুলে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা।

বিধায়কের উদ্যোগে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী পার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বস্তা দিয়ে পার বাঁচানোর কাজও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভাগীরথীর জল ছাড়ার পরই দেখা গেল অঞ্চলের নতুনগ্রাম এলাকার বেশ খানিকটা জায়গা গঙ্গা ভাঙনের কবলে। ভাঙনের ফলে বস্তা সহ মাটি চলে গিয়েছে জলে। ফলে এখন ঘুম উড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের।

এলাকাবাসী এবং স্থানীয় সদস্যার দাবি, কাজ হলেও সেই কাজে কাপিলকি ছিল আর সে কারণেই আজকে এই ভাঙ্গন। যদিও ওই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথী নদী এর আগেও গ্রাস করেছে, বিঘের পর বিঘে জমি। সমাধান চাইছে এলাকাবাসী। পার্শ্ববর্তী নতুনচর কলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন তাদের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা এই নদী পার যদি এই পার ভাঙতে থাকে তাহলে তারা কোনো রকম ভাবেই চলাফেরা করতে পারবেন না। অপরদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানাচ্ছে গত কিছুদিন ধরে অনবরত বৃষ্টি এবং ভাগীরথী নদীর জল বাড়ার কারণে জলের প্রেসারে ভাঙ্গন হতে পারে।

ইতিমধ্যে এই ঘটনা শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীকে জানান হয়েছে। তিনি ইরিগেশন দফতররের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এই নদী পার সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। দ্রুত এই কাজ করা হবে। যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ময়দানে নেমেছে বিরোধী দল বিজেপি। 

তারা জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা তছরূপ করে কাজে গাফিলতি করা হয়েছে আর তাতেই এই ভাঙ্গন। দ্রুত এর তদন্ত হওয়া উচিত। যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মৌখিক ভাবে জানান, ইতিমধ্যে ইরিগেশন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামীকাল তিনি পরিদর্শনে যাবেন। তবে ওখানে আদেও ভাঙ্গন হয়েছে নাকি ধস নেমেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। ইরিগেশন দফতরের ইঞ্জিনিয়ার রা বিষয় টি দেখবেন তার পর তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন। তবে এই ভাঙ্গনের ঘটনা সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে শাসক -বিরোধী তরজা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।