শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক তাঁর অবস্থা । ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান চন্দনগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি হেডকোয়াটার ঈশানি পাল, ডিসিপি চন্দননগর অলকানন্দ ভাওয়াল-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
৩ মার্চ বিয়ে বিয়ের দিন ঠিক ছিল। সেইমতো ছুটিও চেয়ে নিয়ে ছিলেন পুলিশ কর্মী। কথা মতো বৃহস্পতিবার ছিল ছুটির আগের দিন অফিস। আর সেই রাতেই এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন পুলিশকর্মী। আচমকা নিজের রিভলভার থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। গুলির শব্দ সকলে ছুটে এসে ওই পুলিশ কর্মীকে নিয়ে যান চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই পুলিশকর্মীর নাম হিমাংশু মাঝি। তিনি বাঁকুড়া জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ লাইনে কর্মরত হিমাংশু মাঝি। বিয়ের আগেই হিসেব মতো ছুটি নিয়েছিলেন। ছুটির আগের দিন হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে ছিলেন । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা নিজের রিভলভার থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, সেই মুহূর্তে হিমাংশুর সহকর্মী শৌচালয়ে ছিলেন। আচমকা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী সহ তাদের পরিজনেরা। উদ্বেগ বাড়ে হাসপাতাল চত্বরে। এই ঘটনার পরই ডেকে আনা হয় তাঁর সহকর্মীকে। জখন অবস্থায় ওই পুলিশকর্মী হিমাংশুকে নিয়ে দ্রুত আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তে এই হাসপাতালেই চলছে তার চিকিৎসা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক তাঁর অবস্থা । ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান চন্দনগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি হেডকোয়াটার ঈশানি পাল, ডিসিপি চন্দননগর অলকানন্দ ভাওয়াল-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এই ঘটনার সময় যাঁরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তাদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন হিমাংশু। এই ঘটনার পর খবর দেওয়া হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর পরিবারকে। কিন্তু আচমকা বিয়ের তিনদিন আগে এই পুলিশকর্মী কেন এমন চুড়ান্ত পরিনতির দিকে পা বাড়াতে গেলেন তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
