- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বিকাশভবনে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাস্তায় শুয়ে আন্দোলনকারীরা কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়
বিকাশভবনে চাকরিহারাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, রাস্তায় শুয়ে আন্দোলনকারীরা কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়
বৃহস্পতিবার থেকে বিকাশভবনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারারা। সকাল থেকেই তারা অবস্থানে বসেন।

তৃণমূল নেতা চড়াও
বৃহস্পতিবার থেকে বিকাশভবনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারারা। সকাল থেকেই তারা অবস্থানে বসেন। বিকেলের দিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। তারপরই মেজাজ হারাতে শুরু করে চাকরিহারারা।
রাতে লাঠি চার্জ
রাতের দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের।
সকাল থেকেই উত্তেজনা
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তাল ছিল বিকাশভবন। অভিযোগ রাতের দিকে হঠাৎ করেই চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ চাকরিহারা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ।
রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ
পুলিশের লাঠিচার্জের পরই রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে চাকরিহারারা। তাদের রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আটক কর্মীরা মুক্ত
সকাল থেকেই চাকরিহারাদের বিক্ষোভের কারণে বিকাশভবনের কর্মীরা আটকে পড়েন। রাতের দিকে চাকরিহারাদের সরিয়ে দিয়ে আটক কর্মীদের মুক্ত করে পুলিশ। যদিও আটক কর্মীরাও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।
জখম অনেকে
চাকরিহারাদের অভিযোগ পুলিশের মারে জখম হয়েছে অনেকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা নেই। রাত ১০টার পরেও বিকশ ভবনে উত্তেজনা রয়েছে।
১২টা থেকে বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। দফতর ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
চাকরিহারাদের বিক্ষোভ
নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলনে আবারও উত্তাল বিকাশভবন। বৃহস্পতিবার 'যোগ্য' চাকরিহারাদের বিকাশভবন ঘেরাও অভিযান ছিল।
মমতাকেও পরীক্ষায় বসার দাবি
বিকাশ ভবনের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে চাকরিহারারা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিট স্লোগান' তোলেন। তাদের কথায় 'দ্বিতীয়বর আমরা পরীক্ষা দেব না। আমাদের যদি পরীক্ষা দিতে হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী সাংসদ সককলেই পরীক্ষা দিতে হবে। '
চাকরিহারাদের দাবি
'আমরা নেতা মন্ত্রীদের ঘুষ দিয়ে চাকরি পাইনি , কেন বারবার পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে?' চাকরিহারারা আরও বলেছেন, আলোচনা না করেই ভিতর ভিতর পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তাঁদের আরও অভিযোগ রয়েছে, 'আমাদের না জানিয়েই রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। চাকরি যাওয়ার জন্য দায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকার। আগে সবাই নির্বাচনে দাঁড়াক। তারপরে আমরা পরীক্ষার কথা ভাবব।
নিয়োগ দুর্নীতির রায়
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। তাতেই চাকরিহারা রাজ্যের ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিক্ষাকর্মী। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিহ্নিত 'অযোগ্য ' নয় এমন শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
এই অবস্থায় রাজ্য় সরকার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু সেই মামলার শুনানি এখনও পর্যন্ত হয়নি।

